ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অর্থ সঙ্কটে ৭ বছর ধরে বন্ধ দিনাজপুরের কয়লা শোধনাগার

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

অর্থ সঙ্কটে ৭ বছর ধরে বন্ধ দিনাজপুরের  কয়লা শোধনাগার

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ বিরামপুর উপজেলার আম বাগান দুর্গাপুর এলাকায় অর্থ সঙ্কটে কয়লা শোধনাগারটি সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। দেশের একমাত্র কাঁচা কয়লা শোধনাগারটির শোধনকৃত কয়লার তীব্রতা বেশি হওয়ায়, লোহা গলানো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই শোধনাগারটি চালু হলে দেশে বিদ্যুত, গ্যাস ও কয়লার জ্বালানির চাপ অনেকংশে কমে আসবে। ২০০৭ সালে মাত্র ৭৬ শতক জমির ওপর সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শোধনাগারটি নির্মিত হয়। এখানে ভারতীয় ফায়ার ব্রিক্সের নির্মিত ৯০ ফুট উঁচু একটি চিমনি ও ১২টি চুল্লি রয়েছে। ২০০৮ সালে দুর্গাপুরে এর যাত্রা শুরু করে বিরামপুর হার্ড কোক লিমিটেড নামের শোধনাগারটি। এখানে কয়লা শোধন করে তৈরি হয় হার্ডকোক। এগুলো শিল্প কারখানায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন ৫শ’ টন কাঁচা কয়লা শোধনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও কিছুদিন চালু থাকার পর ৭ বছর ধরে শোধনাগারটি অর্থ সঙ্কটে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। বিরামপুরে হার্ডকোক লিমিটেডের চেয়ারম্যানের ছেলে শাহ নেওয়াজ রকি জানান, কাঁচামালের অভাবে এই কারখানাটি বন্ধ হয়ে আছে। কাঁচামাল সঠিকভাবে সরবরাহ করতে পারলে আবার কারখানাটি চালু করা সম্ভব হবে। এতে করে এলাকার অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। ওই হার্ডকোক লিমিটেডের শ্রমিক মনছুর আলী জানান, কারখানা বন্ধ থাকায় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি। শিল্পটি পুঁজির অভাবে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে না পেরে গত ৭ বছর ধরে কয়লা শোধনাগারটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণের জন্য ধরনা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। হার্ডকোক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, শোধনকৃত কয়লা উচ্চ তাপমাত্রা তৈরি ও লোহা গলানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে দেশে শোধনকৃত কয়লা উৎপাদন না হওয়ায় বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করতে হয়। এটি চালু হলে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে। বিদেশ থেকে বেশি দামে যে হার্ডকোক আসছে, তার চেয়ে প্রতিকেজিতে ৮-১০ টাকা কমে এই হার্ডকোক পাওয়া সম্ভব। আইসিবি কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে তৌহিদুল ইসলাম, সভাপতি এবং এ কে এম ফজলে রাব্বি প্রধান (বাদল) সাধারণ সম্পাদক, নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আগামী দুই বছর (২০১৫-১৭) এর জন্য অন্য পদে নির্বাচিতরা হলেন কামরুল হাসান উর্ধতন সহ-সভাপতি, জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম-সম্পাদক, দীন মোহাম্মদ খান, সহ-সভাপতি-১, মোশাররফ হোসেন, সহ-সভাপতি-২, ফয়েজুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক-১, সোহেল খলিফা, সহ-সাধারণ সম্পাদক-২, আব্দুল মালিক, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহাম্মদ এখলাস হোসেন, কোষাধ্যক্ষ, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, দফতর সম্পাদক, মিলন মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। -বিজ্ঞপ্তি
×