ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোচিং বাণিজ্য

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

কোচিং বাণিজ্য

শিক্ষার উদ্দেশ্য জ্ঞানের বিস্তার, সংস্কৃতির প্রসার ও জাতীয় ঐক্যবোধ সৃষ্টি করা। সুশিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কোন জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। সুষম শিক্ষাব্যবস্থা একটি জাতির আশা-আকাক্সক্ষা রূপায়নে এবং ভবিষ্যতে সমাজ নির্মাণের সহায়ক। কিন্তু বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থা দেশের গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণের অন্তরায়। অতি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে নিশ্চয়ই কোচিং ব্যবসার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধা বিকাশে এবং সরকার প্রবর্তিত সৃজনশীল শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল করার ক্ষেত্রে কোচিং সেন্টারগুলো বিরাট অন্তরায় হিসাবে কাজ করছে।এদের কারণে শিক্ষার্থীদের বিশ্রাম খেলাধুলা ও মানসিক বিকাশের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের অনেকে নিজ প্রতিষ্ঠানের ক্লাসে না গিয়ে সারাদিন বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে দৌড়াদৌড়ি করে অবসন্ন হয়ে বাসায় ফিরে শুয়ে পড়ে। নতুন করে পড়া তৈরি করার ধৈর্য বা ইচ্ছা শক্তি কিছুই থাকে না। কথিত আছে, বর্তমান বাংলাদেশে ভাল ফলাফল করতে হলে শিক্ষার্থীদের কোন না কোন কোচিং বাণিজ্যের শিকার হতে হয়। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী কোচিং বাণিজ্য বন্ধের জন্য কঠোর মনোভাব নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। শিশু ফলাফল শুন্য বৈঠক নয়, সুশিক্ষিত সমাজ গড়ে তুলতে কোচিং বাণিজ্য রোধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আবুল বাশার (মিরাজ) ছাত্র : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
×