ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুজিবনগর দিবস পালিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্বাধীনতা-বিরোধী গণশত্রুদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শুক্রবার রাজধানীসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের ৪৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঐতিহাসিক এ দিনটি স্মরণে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি স্মৃতিবিজড়িত মেহেরপুরের মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননেও জাতীয়ভাবে পালিত হয় নানা কর্মসূচী। দিবসটি পালনে ধানম-ির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের জনতার ঢল নামে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সতীশ চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ সারিবদ্ধভাবে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা আওয়ামী লীগ, ওলামা লীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, অরুন সরকার রানার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মৎস্যজীবী লীগ, যুব শ্রমিক লীগ, হকার্স লীগ, তাঁতী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, মোটর চালক লীগ, ওলামা লীগ, জাতীয় বিদ্যুত শ্রমিক লীগ, বাস্তুহারা লীগ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা ঐক্যজোট, রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক লীগ, নির্মাণ শ্রমিক লীগসহ অসংখ্য দল ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিৃকতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। ধানম-ি ৩২ নম্বরে সকাল থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজার হাজার নারী-পুরুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘জামায়াত শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘মুজিবের বাংলায় খুনীদের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি নানা সেøাগান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বনানী কবরস্থানে শহীদ জাতীয় তিন নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর কবরেও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। একই সময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজশাহীতে আরেক শহীদ জাতীয় নেতা এএইচএম কামরুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় রাজধানীর ধানম-ির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচী শুরু হয়।
×