ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পোলিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে রেহাই পেল ১১ এমএলএসএস

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

পোলিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে রেহাই পেল ১১ এমএলএসএস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বা পোলিং অফিসার হিসেবে ঢাকার একটি কলেজের ১১ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলেও পরে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণত স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পেলেও এবার সে তালিকায় স্থান পায় মিরপুর হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজের ১১ জন এমএলএসএস। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে তাদের কয়েকজনকে মিরপুরের পাইকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়। কিন্তু পোলিং অফিসার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পরই এসব কর্মচারী ভোটগ্রহণে অক্ষম শুধুমাত্র অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন উল্লেখ করে দায়িত্ব থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানান। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে তারা ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনে দৌড়াদৌড়ি করেন। আবেদনে তাঁরা নিজেদের দারোয়ান, নৈশপ্রহরী, মালি, সুইপার, আয়া, পিয়ন ও ঝাড়ুদার পরিচয় দিয়ে স্বাক্ষরসহ আবেদন করেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। কলেজ অধ্যক্ষও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবেচনায় ওই ১১ জনকে দিয়ে ভোটের কাজ করানো কষ্টকর হবে উল্লেখ করেন। তারা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বলে উল্লেখ করেন। তবে পোলিং অফিসার হিসেবে এমএলএসএস পদের কর্মচারীদের নিয়োগের কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বিষয়টি জানার পর তাদের দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়ার কথা বলেন ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং অফিসার মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, আমাদের কোন লিস্টে এমএলএসএস থাকে না। আমরা চাইলে যে কোন শ্রেণীর কর্মচারীকে নিয়োগ দিতে পারি। দ্বিতীয় শ্রেণীর নিচের কর্মচারীকেও দেয়া যেত। তারপরও এ ধরনের কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের কার্যালয়ে ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম ওই ১১ জনকে বাদ দেয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো তালিকায় সংশ্লিষ্টদের পদবি ছিল না। এটা কলেজ অধ্যক্ষের ভুল। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বাদ দিয়েছি এবং কলেজ অধ্যক্ষকে শোকজ নোটিস দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা পাঠায়। আমরা সিডি থেকে কপি করে পেস্ট করি দেই। সে হিসেবে কপিটা চলে গেছে। যখনই জেনেছি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করে দিয়েছি। তাদের পরিবর্তে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন, এমএলএসএস বা যে কোন কর্মচারীকে পোলিংয়ের দায়িত্ব দিতে পারেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ নিয়ে আইনী কোন বাধা নেই।
×