ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এ্যান্টিগা টেস্ট

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

এ্যান্টিগা টেস্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যান্টিগা টেস্টে ফেবারিট ইংল্যান্ড খেলেছে ফেবারিটে মতোই। প্রথমে ইয়ান বেলের সেঞ্চুরির (১৪৩) সৌজন্যে ৩৯৯ রানে অলআউট হওয়ার পর গ্যারি ব্যালান্সের সেঞ্চুরিতে (১২২) ৭ উইকটে ৩৩৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৯৫ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে করে ৯৮ রান। স্বাগতিকদের হয়ে প্রথম ইনিংসে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইংলিশদের একতরফা ছড়ি ঘোরাতে দেননি জার্মেইন ব্ল্যাকউড (১১২)। বরং ম্যাচটা পঞ্চম দিনে নিয়ে আসা ক্যারিবীয়রা জবাবটা ভালই দিয়েছে। জয়ের জন্য শেষ দিনে তাদের প্রয়োজন ৩৪০ রান। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী সকালে পত্রিকা হাতে পাওয়ার সময় পঞ্চম দিনের খেলাও শেষ, এতক্ষণে টেস্টের ফলটা জেনে গেছেন সবাই! প্র্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়দের ২৯৫ রানের সম্মানজনক সংগ্রহে বড় ভূমিকা ব্ল্যাকউডেরই। ১৯ রানে প্রথম, ৪২ রানে দ্বিতীয়, ৮৯ রানে তৃতীয় ও ৯৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ডেভন স্মিথ ১১, ড্যারেন ব্রাভো ১০, মারলন স্যামুয়েলস ৩৩ ও ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ৩৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপরই অভিজ্ঞ শিবনায়াণ চন্দরপলের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৯৩ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন ব্ল্যাকউড। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে আউট হন চন্দরপল। তবে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্টে এসে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্ল্যাকউড। ১১২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ২৩ বছর বয়সী জ্যামাইকান প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট অফস্পিনার জেমস ট্রেডয়েলের। এছাড়া শততম টেস্ট খেলতে নামা জেমস এ্যন্ডারসন ও অপর পেসার স্টুয়ার্ড ব্রড নেন ২টি করে উইকেট। ১০৪ রানে এগিয়ে থেকে শুরু করা ইংলিশরা ৩৩৩/৭-এ দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে, স্বাগতিকদের ৪৩৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। যেখানে বড় কৃতিত্ব ব্যালান্সের। ১২২ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মজার বিষয়, মাত্র ৯ টেস্টে ২৫ বছর বয়সী ব্যালান্সের ৩ হাফ সেঞ্চুরির বিপরীতে চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি! সাম্প্রতিক ব্যর্থতা কাটিয়ে ফর্মে ফেরেন জিম্বাবুইয়ান বংশোদ্ভূত এই বাঁহাতি ইংলিশ ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয সর্বোচ্চ ৫৯ জো রুটের। জবাবে ৭ রানে প্রথম উইকেট হারানো উইন্ডিজকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন ডেভন স্মিথ (৫৯*)। ব্যাটিংয়ের অপেক্ষায় ছিলেন অভিজ্ঞ শিবনারায়ণ চন্দরপল ও অধিনায়ক দিনেশ রামদিন।
×