ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে ডায়রিয়া নিউমোনিয়ার প্রকোপ

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

ঠাকুরগাঁওয়ে ডায়রিয়া নিউমোনিয়ার প্রকোপ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৭ এপ্রিল ॥ প্রচণ্ড দাবদাহ এবং দিনে গরম রাতে শীতের আবহাওয়া বিরাজ করায় ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অক্সিজেন সঙ্কটের কারণে এসব শিশুর চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক শিশুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় গ্রামগঞ্জে আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য শিশু। সদর হাসপাতালে শয্যা না থাকায় মেঝেতে রেখে আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫টি শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি ডায়রিয়ায় এবং ৩৪টি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। আউটডোরে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে শতাধিক শিশুকে। যেসব শিশুর অবস্থা বেগতিক শুধু তাদেরই হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে দেখা গেছে ৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে ১৩০ শিশু। শিশুর সঙ্গে তার আত্মীয়স্বজন আসায় গিজগিজ করছে ওয়ার্ড। শিশু ওয়ার্ডে ৭৫ জন ডায়রিয়ার এবং ৪৪ জন নিউমোনিয়া আক্রান্ত। বেড সঙ্কটের কারণে ওয়ার্ডের ও বারান্দার রাস্তার মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বেশিরভাগ শিশুকে। বারান্দায় আশ্রয় না পেয়ে কাউকে হাসপাতালের সিঁড়িতে বিছানা পেতে শিশুর চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। বারান্দার বিছানার লাইন শিশু ওয়ার্ডের বারান্দা পেরিয়ে চলে গেছে গাইনি ওয়ার্ডের বারান্দা পর্যন্ত। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর কান্না ও অভিভাবকদের চিৎকারে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার, শয্যা ও জনবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসকরা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ ব্যাপারে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাজাহান নেওয়াজ তীব্র গরম ও দিনে গরম রাতে শীতের কারণে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, শিশুরা অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে নিউমোনিয়াসহ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এতে হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। প্রাথমিক অবস্থায় শিশুদের হাসপাতালে নেয়া হলে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব। সিভিল সার্জন ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি একটি শিশুর যাতে কোন ক্ষতি না হয়। তবে অক্সিজেন সঙ্কট ও জনবল সঙ্কটের কারণে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার লিখেও জনবল সমস্যা সমাধান করতে পারছি না।
×