চীন দালাইলামার সঙ্গে সমঝোতামূলক আলোচনার সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে, তিব্বতের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা হবে না।’ চীন ওই অঞ্চলে নিরন্তর সহিংসতা উস্কে দিতে তাকে দোষারোপ করে চীনকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছে।
বুধবার তিব্বতের ওপর কঠোর ভাষায় প্রকাশিত এক শ্বেতপত্রে চীন তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মীয় নেতার প্রতি প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করে নেয়ারও দাবি জানায় যে, অঞ্চলটি ‘প্রাচীনকাল থেকেই’ চীনের অংশ। প-িতদের মতে এ ধরনের বক্তব্য যেমন সত্য নয়, তেমনি দালাইলামাও এ ধরনের শর্ত সম্ভবত মেনে নেবেন না। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। গত অক্টোবরে দালাইলামা (৭৯) ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, শুধু ভ্রমণের জন্য হলেও তাঁর সম্ভাব্য স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রশ্নে চীনা সরকারের সঙ্গে তাঁর ঘরোয়া আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি একজন বাস্তববাদী হিসেবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর প্রশংসা করেন। সে সময় গণমাধ্যমের অন্যান্য খবরে আভাস দেয়া হয় যে, চীনা নেতৃত্বের মধ্যপন্থী কর্মকর্তারা হয়ত একটি সমঝোতার সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখছেন। তবে তখন অনেক প-িত এ ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেন। এখন চীনা সরকারের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী বেজিংয়ের অবস্থান বেশি না হলেও আগের মতই আপোসহীন এবং তাদের বাক্যবাণ অনমনীয়।