ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে খানাখন্দে বেহাল সড়ক

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

মুন্সীগঞ্জে খানাখন্দে বেহাল সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কের শহরের লাগোয়া মুক্তারপুর জোরপুকুরপাড় থেকে মালিকপুর পর্যন্ত এখন চলাচল অনুপযোগী। প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের এই অংশে বড় বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে পথ চলতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর ধুলাবালি উড়ে আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরের মানুষেরও যেন ত্রাহি অবস্থা। বাংলা নববর্ষের আগে এটি মেরামত করা হবে এমন কথা ছিল। কিন্তু শীত মৌসুম শেষ হয়ে এখন আবার বৃষ্টি বাদলের দিন চলে আসছে। মেরামতের খবর নেই। জেলা শহরের মুখের এই সড়কে দুরবস্থার কারণে পথচারীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) রাস্তাটির এই করুণ দশা বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। কিন্তু এটি চলাচল উপযোগী করতে কোন রকম উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির বিভিন্ন পয়েন্টে পানি জমে থেকে পাথর উঠে যাচ্ছে। তাই পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বা আশপাশের পুকুর ডোবা ভরাটেও কোন বাধা নেই। তাই সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। মুক্তারপুরে পেট্রোল পা¤প থেকে শহরের মুখে মানিকপুরের আলু গবেষণা কেন্দ্র (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) পর্যন্ত এই সড়কে রাতদিন চলাচল হাজার হাজার মানুষের। গড়ে অর্ধ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করছে। এই সড়ক দিয়েই জেলার একমাত্র জেনারেল হাসপাতালের অবস্থান। তাই রোগীদেরও যাতায়াত করতে হয়। ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হাসপাতালে চলাচলকারী অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ রোগীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাতায়াত করতে এবং জেলার টঙ্গিবাড়ী, সিরাজদিখান, লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলার লোকজনকে জেলা শহরে আসতে হয় ওই সড়ক দিয়ে। জেলা শহরের অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমাসহ নানা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতেও এই সড়কের বিকল্প নেই। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের ওই পথে চলাচল করতে হয়। এলাকাবাসী জয়নাল আবেদীন জানান, ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে সড়কটির অবস্থা খুবই করুণ। হেঁটে বা গাড়িতে যাতায়াত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে কার্পেটিং একবারেই উঠে গেছে। সেখান দিয়ে গাড়ি যাওয়ামাত্রই সড়ক ধুলায় অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। পথচারীদের নাক চেপে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, শিগগির গর্তগুলো ভরাট করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নতুনভাবে আবার কাজ করতে হলে আরসিসি ঢালাই করতে হবে। তা না হলে থাকবে না। এ জন্য প্রকল্প হাতে নেয়ার পরিকল্পনা চলছে। জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল হাসান বাদল জানান, এটি অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। অন্য সড়ক ভাল সত্ত্বেও এই অংশটুকু খারাপ থাকায় জনসাধারণের নানা রকম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তবে সত্বরই রাস্তাটুকু সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×