ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দফতরি নিয়োগ বাণিজ্য

চাঁপাইয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

চাঁপাইয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ প্রাথমিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী “দফতরি কাম প্রহরী” পদে নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম লাটে উঠেছে। জেলার সরকারী প্রাথামিক বিদ্যালয়ের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বড় ধরনের রাজনীতি করণে স্থানীয়ভাবে নানান প্রভাবশালীদের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততার কারণে প্রতিদিনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও ক্লাস হচ্ছে না। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসলেও কোন লেখাপড়া ছাড়াই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এদিকে দফতরি কাম প্রহরী নিয়োগ জটিলতা ও বাণিজ্যের কারণে ইতোমধ্যেই ১০টি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে এসব স্কুলে ঝুলে গেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। জেলার সরকারী প্রাথমিক কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানিয়েছে তারা এই মুহূর্তে নিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে ৩৬০ স্কুলের। তারমধ্যে ২৯৩টি স্কুলে নিয়োগের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ। তবে এখনও ১৪৭টি স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যা ৩১ মের মধ্যে শেষ করতে হবে। গোমস্তাপুর উপজেলায় তিনটি ও নাচোলের ২টি নিয়োগ নিয়ে যে মামলা হয়েছে তার কারণে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম একেবারে বন্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকা ভিত্তিক প্রভাবশালীরা দফতরি নিয়োগ নিয়ে দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ায় যে কোন সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে ২১৩টি স্কুলের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে তাতে বাণিজ্য হয়েছে প্রায় ছয় কোটি টাকার। জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে, এমনিতেই এখনও ৫ শ’ শিক্ষকের পদ খালি পড়ে রয়েছে। জেলায় কর্মরত ৪ হাজার ৩ শ’ শিক্ষকের প্রায় প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবেই দফতরি নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে গ্রাম্য রাজনীতির কারণে স্কুলে আসে না। ফলে একদিকে এমনিতেই জেলায় বিশালসংখ্যক শিক্ষকের পদ খালি তার ওপর কর্মরতরা স্কুলে না আসায় জেলা জুড়ে ভেঙ্গে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। শেরপুর থেকে বাস চলাচল অনির্দিষ্ট কাল বন্ধ ময়মনসিংহে চাঁদাবাজি নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১৬ এপ্রিল ॥ ময়মনসিংহ মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে শেরপুর থেকে সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিপাকে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে শেরপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা সড়কে ময়মনসিংহ মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের কতিপয় নেতাকর্মী বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছে। এতে ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে শেরপুরসহ অন্য সড়কের সকল প্রকার যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে ময়মনসিংহ মালিক-শ্রমিক নেতাদের অবৈধ চাঁদা দিতে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ময়মনসিংহে শেরপুরের সব বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ড্রাইভার-হেলপারদের ব্যাপক মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকল পক্ষকে নিয়ে বসে শেরপুর বাস মালিক সমিতি ওই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বান করে। জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপন জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ শেরপুরের উজানে হওয়ায় ব্যাপক চাঁদাবাজি করে আসছে ময়মনসিংহ মালিক-শ্রমিক ইউনিয়ন।
×