স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নগরীর ৩০ গোডাউন হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার গত ছয় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এখানকার ৩০টি গুদামেই ঝুলছে তালা। কাজ না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অলস সময় পার করছেন। খাদ্য না থাকায় কোন কোন গুদাম বেসরকারীভাবেও ভাড়া দেয়া হয়েছে। নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।
৩০ গোডাউনের বিশাল এলাকা এখন মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। অযতœ আর অবহেলায় কোন কোন গুদাম ব্যবহারেরও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক বিএম সফিকুল ইসলাম বলেন, খাদ্য অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের সিদ্ধান্তেই ২০০৯ সাল থেকে এখানে খাদ্য সংরক্ষণ হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারের ৮২ জনবলের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৬৩ জন। এর মধ্যে ৩৩ জনই ডেপুটেশনে অন্যত্র কাজ করছেন। অবশিষ্ট ৩০ জনের বর্তমান দায়িত্ব প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপক সফিকুল বলেন, গুদামে রক্ষিত কীটনাশক দেখভাল এবং দীর্ঘ বছরের অডিট নিয়ে তারা কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, এটি অকার্যকর হলেও গুরুত্ব অপরিসীম। খাদ্য সরবরাহের চ্যানেল থাকলে এখানে কয়েক হাজার টন খাদ্য সংরক্ষণ করা যেত। বরিশালের হাজার হাজার টন ধান চলে যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলে। সেই চাল অধিক দামে আবার বরিশালে আসছে। এ অঞ্চলে ব্যাপকহারে অটোরাইস মিল থাকলে বরিশালের চাল উত্তরাঞ্চল থেকে আনতে হতো না। এমনকি এ সংরক্ষণাগারে খাদ্য থাকলে ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে তা অতি সহজে সরবরাহ করা যেত। সংরক্ষণাগারের খাদ্য পরিদর্শক মোঃ ইউসুফ আলী জানান, সংরক্ষণাগার যখন চালু ছিল তখন শত শত শ্রমিক এখানে কাজ করেছেন। বর্তমানে কর্মরত একাধিক কর্মচারীরা জানান, ৩০ গোডাউন হিসেবে পরিচিত এ সংরক্ষণাগারের জৌলুস একটি মহল ধ্বংস করে দিয়েছে। বরিশাল কনজুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত দত্ত বলেন, কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার কেন্দ্র যদি তালাবদ্ধ থাকে, তবে ধরে নিতে হবে বরিশালে খাদ্যের ঘাটতি রয়েছে। দুর্যোগ মুহূর্তে কোথা থেকে খাদ্য আসবে। তাছাড়া গ্রাম-গঞ্জে খাদ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ হচ্ছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা দরকার।
সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুত সমিতির ম্যানেজার প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ গ্রাহকদের সঙ্গে অসদাচরণ, অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাসের প্রত্যাহার দাবি করা হয়েছে। সমিতির গ্রাহকদের ব্যানারে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পাটকেলঘাটা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচীর মাধ্যমে ৫ দফা দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ জিএম স্বেচ্ছাচারী। গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, মানবববন্ধনকারীরা সমিতির দালাল হিসেবে চিহ্নিত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: