ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

উবাচ

আই এম ভেরি সিরিয়াস ম্যান স্টাফ রিপোর্টার ॥ নগরীর পিতা নই, নাগরিকদের বন্ধু হতে চাই- এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক। সদা হাস্যোজ্জ্বল আনিসুল হক এবার বলেছেন, ‘আই এম এ ভেরি সিরিয়াস ম্যান। আবেগ দিয়ে নয়, যোগ্যতা দিয়ে সিটি নির্বাচনে জয়লাভ করতে চাই।’ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে ‘সম্মিলিত ক্রীড়া পরিবার’ নামের একটি সংগঠন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। আনিসুল হক বলেন, আল্লাহ যতটুকু দিয়েছেন তা আমার জন্য যথেষ্ট। এখন আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। নির্বাচনের ক্যাম্পিংয়ের জন্য গত ৭ দিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশেছি। এখানে এক নতুন ঢাকাকে দেখছি। সাধারণ মানুষের চাওয়া খুবই সামান্য, যা ভাবা যায় না। যদি আপনারা আমাকে সমর্থন করেন তবে সব শ্রেণীর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব। তিনি বলেন, একটি পরিবারে ভিন্নমতের সদস্য থাকতে পারে। তবে দিন শেষে তাঁরা পরিবারের কাছে ফিরে আসেন। ঢাকা আমার কাছে একটি পরিবারের মতো। এই পরিবার নিয়ে আমি এখন প্রতিদিনই হোমওয়ার্ক করছি। এর আগে গেল সপ্তাহে আনিসুল হক নির্বাচনী প্রচারাভিযানে গিয়ে বলেছিলেন, মানুষ তাঁকে ভোট দিলে জীবনের পাঁচটি বছর নগরবাসীর জন্য কাজ করবেন। তিনি বলেন, আমি আমার পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ বছরের সময় নিয়েছি। বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি মানুষের কাছে যাচ্ছি। নির্বাচিত হলে পাঁচ বছর নগরবাসীর জন্য কাজ করব। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সব দলের সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি প্রতিদিন সকাল থেকে মানুষের কাছে যাচ্ছি। প্রচার চালাচ্ছি। আশা করি মানুষ আমাকে সমর্থন দেবেন। এবার নীরব বিপ্লবের স্বপ্ন স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাসের পর মাস হরতাল-অবরোধ ডেকে সরকারের পতন ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অবশেষে সুর নরম করলেন। বুঝতে পেরেছেন নাশকতা পথে কাজ হবে না। তাই সেপথে ব্যর্থ হয়ে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণ তাঁর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটাবেন- এ আশা করছেন তিনি। তবে আন্দোলনের নামে শতাধিক মানুষ হত্যার পর প্রকাশ্যে এসে খালেদা জিয়ার রাজনীতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাংলা নববর্ষে গেল মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বানই জানালেন। নববর্ষের অনুষ্ঠান হলেও এটা ছিল মূলত বিএনপি-জামায়াত জোটের রাজনৈতিক কর্মসূচীর মতোই একটি সমাবেশ। অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবং ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়া দুই প্রার্থীর জন্য ঢাকাবাসীর ভোট চেয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এবার ভোটের নীরব বিপ্লব ঘটাতে হবে। আমাদের সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জালেম অবৈধ সরকারকে দেখিয়ে দেবেন। গুলশানে নিজের কার্যালয়ে তিন মাস অবস্থানের পর বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর এই প্রথম ঘরের বাইরে দলীয় কোন কর্মসূচীতে অংশ নিলেন খালেদা জিয়া। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নয়াপল্টনে পৌঁছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গাড়িবহর। ওই কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতিবছর জাসাস এই স্থানে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করলেও তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে খালেদা জিয়ার যোগ দেয়া এটাই প্রথম। এদিকে প্রকাশ্যে এসে বর্ষবরণেও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মসূচী নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ইমরান তাঁর ফেসবুক ওয়ালে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে লিখেছেন- ৯২ দিন পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ মেরে এখন ব্যালট বিপ্লব ঘটাতে বলছেন, লজ্জা করে না? বলছেন অবৈধ সরকারের তাবেদার নির্বাচন কমিশন। আবার তার অধীনেই নির্বাচন করতে মাদাম আপনার লজ্জা হচ্ছে না? কোথায় গেল আপনার তথাকথিত আপোসহীন খেতাব? বিএনপি চেয়ারপার্সনের ভোট চাওয়ায় উত্তরের আকবর লিখেছেন, বাসে আগুন দিয়ে যারা নগরবাসীকে পোড়ায়, তাদের কেন ভোট দিব? পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিনা বিপ্লবে জিতেছেন। এবার ঠিকই বিপ্লব হয়ে যাবে। পেট্রোলবোমাবাজির যৌক্তিক পরিণতি দেখতে পারবেন। রোখসানা আক্তার লিখেছেন, জামায়াত-বিএনপি জোট নেত্রীকে বলছি- আপনাদের জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার কোন অধিকার নেই। গত তিন মাস পেট্রোলবোমায় প্রায় ১৮০ জন মানুষ হত্যা করে, এখন এবার এ সরকারের অধীনেই সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। আপনাদের কি একটুও বিবেকে বাঁধছে না নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে। আপনার উচিত জনগণের কাছে, জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। নাকে খত দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে জেলখানায় যাওয়া। আপনাদের বিবেক বা লজ্জা বলে কি কিছুই নাই? বিএনপি বিলুপ্তির পথে- এরশাদ স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির সাংগঠনিক দুরবস্থা দেখে দলটির ভবিষ্যত নিয়েই সন্দিহান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বললেন, বিএনপি এখন বিলুপ্তির পথে। ডিসিসি নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না তারা। যাদের প্রার্থী দেয়া হয়েছে তাদেরও কেউ চেনে না। গেল সোমবার রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে পার্টির নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী উদ্বোধনকালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ মন্তব্য করেন। ইউএস এইড, ইউকে এইড ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের জন্য এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছিল। এরশাদ বলেন, গণতন্ত্রের নামে বিএনপি দুঃশাসন চালিয়েছে। বহুদিন অপেক্ষায় ছিলাম। এবার সুযোগ এসেছে। এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের জন্য এখন সুদিন। নেতাকর্মীদের নামে কোন মামলা নেই। কেউ জেলেও নেই। সিটি নির্বাচনই আমাদের বড় সুযোগ। একে কাজে লাগাতে হবে। হার-জিত আল্লাহর কাছে। তারপরও বলব সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ভাল করবে। বিএনপির সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। ওরা আমাকে ছয় বছর জেলে রেখেছিল। চিকিৎসার জন্য আমাকে হাসপাতালেও পাঠায়নি। ডাক্তার আসলে তার ঘড়ি খুলে রাখা হতো। তারপরও বেঁচে আছি। হয়ত আমাকে দিয়ে আল্লাহর মহৎ কোন উদ্দেশ্য আছে। অনুষ্ঠানে ডেমোক্র্যাটিক ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী, জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মিলন, ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ। মাহীর মোদি স্টাইল স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনী প্রচারণায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্টাইল করার চেষ্টা করছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রপ্রার্থী মাহী বি চৌধুরী। খালেদা জিয়াসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির আশীর্বাদ চেয়ে আলোচনার জন্ম দিয়ে এবার মাহী ‘পরিচ্ছন্ন শহর, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি’ স্লোগানে তিনি ভোটারদের মন জয়ে রাস্তায় ঝাড়ু দিলেন। তবে সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পুত্র মাহীর এ কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। একে ‘অভিনয়’ ‘লোক দেখানো’ অভিহিত করে এসব বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকেই। বুধবার দুপুরে মিরপুরের কালশী মোড়ে রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি। ভারতীয় সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদি দেশের পরিচ্ছন্নতায় নিজেই রাস্তায় ঝাড়ু দিয়েছিলেন। বিষয়টি তখন বিশ্বজুড়েই আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। কালশী মোড়ে আয়োজিত একটি পথসভায় ঝাড়ু নিয়ে হাজির হয়ে মাহী বলেন, মেয়র হলে আমার প্রধান এজেন্ডা হবে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমাদের মূল সেøাগান হলো ‘এবার পরিচ্ছন্ন হবে শহর, পরিচ্ছন হবে রাজনীতি’। এদিকে হঠাৎ মাহীর মোদি স্টাইল নেয়া হাসির খোরাক যুগিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নীল লোহিত তাঁর ফেসবুক ওয়ালে মাহীর উদ্দেশে লিখেছেন- এসব ‘অভিনয়’ ‘লোক দেখানো’ কাজ বন্ধ করাই ভাল। লোক দেখানো এই পরিচ্ছন্নতার অভিনয় না করে আগে অন্তরটা পরিচ্ছন্ন করুন, রাস্তাঘাট এমনিতেই পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে। খালেক লিখেছেন, ওর কি (মাহীর) আর কোন কাজ নাই? সারাদিন এই লোকটা এ রকম দুর্গন্ধ ছড়ায় কেন! নরেশ মাহীর পরিচ্ছন্নতার কথা তুলে ধরে বলেছেন, আমাদের অলি-গলি-রাস্তাঘাটগুলোর যে দশা তাতে এই সুযোগে যদি কিছু দিনের জন্য সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে তা হলে তো ভালই। ধন্যবাদ মাহী বি চৌধুরীকে! সেলিনা লিখেছেন, জনাব মাহী বি চৌধুরীকে এর আগে তো কখনও রাস্তাঘাটের ময়লা পরিষ্কার করতে দেখিনি। এখন শুধু ভোটের জন্য, এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না? এটা তো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। নির্বাচন কমিশন উনাকে ধরে না কেন? মাহীর কর্মকা-কে চাপাবাজি অভিহিত করে সুকোমল লিখেছেনÑ ভোটের বাজারে চাপাটা বাঙালীর বড় সম্পদ, সেক্ষেত্রে উনি যে পিছিয়ে আছেন তা আমরা মানব কেন? তবে ঝাড়ু দেয়ার নাটকটা মন্দ নয়। বড়ই করুণ দৃশ্য। উনার পূর্বপুরুষদের এমনটা করতে হয়নি। উনাকে করতে হচ্ছে, একটি ভোটের জন্য আর কী অসাধারণ কৃতিত্ব দেখানো যায়? দেখিয়ে যান মাহী সাহেব।
×