ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আগামী অর্থবছরের (২০১৫-১৬) বাজেটে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করতে যাচ্ছে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টাক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বর্তমানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত সুবিধা পাচ্ছেন। নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে, ডিএসই মনে করে নানা কারণে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন লভ্যাংশ আয়ের ৫০ হাজার টাকা করমুক্ত সুবিধা দিলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে নেয়ার সুযোগ পাবেন। এতে বিনিয়োগকারীরা বাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। যা বাজারের গতিশীলতা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ আয় ৫০ হাজার টাকা করমুক্ত রাখার পাশাপাশি বাজারের গতি বাড়াতে ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আগামী অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিবে ডিএসই। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হার কমানো, ৫ বছরের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের আয়কর অব্যাহতি, শেয়ার লেনদেনে ব্রোকারেজ হাউসের কর হার কমানো উল্লেখযোগ্য। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ। এরই মধ্যে প্রস্তাবগুলো অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর কমানোর বিষয়ে ডিএসই বলছে, বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাড়ে ২৭ শতাংশ হারে কর্পোরেট কর দিচ্ছে। এই কর হার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা উচিত। এতে ভাল কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। যা বাজারের গভীরতা বাড়াবে। বর্তমানে অতালিকাভুক্ত কোম্পানি ৩৫ শতাংশ হারে কর্পোরেট কর দিচ্ছে। যা আগের অর্থবছরে ছিল সাড়ে ৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হার আড়াই শতাংশ কমায় সরকার। সে সময়ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার কমানোর দাবি জানায় ডিএসই। তবে ডিএসই’র সে দাবি আমলে নেয়নি সরকার। আগামী ৫ বছর স্টক এক্সচেঞ্জের আয় করমুক্ত রাখার বিষয়ে ডিএসই বলছে, ডিএসই একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু প্রশাসন থেকে মালিকানা পৃথকীকরণের (ডিমিউচুয়ালাইজড) পর ডিএসই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর হয়েছে। এখন প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণ এবং পরিচালনার জন্য আগামী ৫ বছর শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা প্রয়োজন। এই সুবিধা দিলে সরকারের রাজস্ব আয়ে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে ডিএসই। অবশ্য সরকারের দেয়া সুবিধা অনুযায়ী চলমান অর্থবছরে স্টক এক্সচেঞ্জ শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা পাচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী অর্থবছর থেকে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে কিছু আয়কর দিতে হবে। তবে সে করের পরিমাণও খুব একটা বেশি না। ব্রোকারেজ হাউসের কর কমানোর দাবির বিষয়ে ডিএসই বলছে, বর্তমানে শেয়ার, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড বা সিকিউরিটিজ লেনদেন মূল্যের ওপর ব্রোকারেজ হাউসের কাছ থেকে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ হারে কর কর্তন করা হয়।
×