ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেলিব্রেটিং লাইফ কনটেস্ট- সেরা ছবি গান নিয়ে বই ও সিডি প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

সেলিব্রেটিং লাইফ কনটেস্ট- সেরা ছবি  গান নিয়ে বই ও সিডি প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সেলিব্রেটিং লাইফ কনটেস্টের সেরা ছবি ও গান নিয়ে প্রকাশিত বই ও সিডির মোড়ক উন্মোচন হয় রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে বুধবার সন্ধ্যায়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্য নিয়ে অষ্টমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও ডেইলী স্টার। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেইলী স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সঙ্গীতশিল্পী আবদুল হাদী, গীতিকবি রফিকুজ্জামান, অভিনেত্রী সারা জাকের, সঙ্গীতশিল্পী ফাহ্মিদা নবী, আলোকচিত্রী আনোয়ার প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি সংস্কৃতির দিক থেকে বাংলাদেশে একটা নবজাগরণ হচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব প্রতিভা আছে, এসব কর্মকা-ের মাধ্যমে সবার মিলিত চেষ্টায় সেই সব প্রতিভাদের একটা স্থান করে দেয়া সবার উচিত। দেশের অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের এসব সৃজনশীল প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষদের সপ্রতিভাকে বিকসিত করে আলোর দিকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। শুধু পরীক্ষার ফলের মধ্য দিয়ে জীবনের প্রকাশ ঘটানো নয়, মুক্ত বুদ্ধি ও চিন্তার মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা অবশ্যই কর্তব্য। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হেড অব কালচারাল এ্যাপিয়ার্স বিটপী দাশ চৌধুরী। পরে সেলিব্রেটিং লাইফ কনটেস্টের সেরা ছবি ও গান নিয়ে প্রকাশিত বই ও সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও আবরার আনোয়ার। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভা খুঁজে আনতে পারা নিশ্চয়ই এক গৌরবের বিষয়। অষ্টমবারের মতো আমাদের এ আয়োজন। আমরা সেলিব্রেটিং লাইফ নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। এর জন্য সবার সাজেশন প্রার্থনা করি। ডেইলী স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, জীবনের বহুমুখী প্রতিভার দিকে আমরা কতটুকুইবা ধাবিত হচ্ছি। আমাদের দেশে ফটোগ্রাফি ও গান লেখার-বিশেষ কোন পুরস্কারের ব্যবস্থা নেই। এ কারণেই আমাদের এই উদ্যোগ। সুন্দর ছবি দেখলে এবং ভাল গান শুনলে আমাদের অন্যরকম এক উপলব্ধি ও দেশের প্রতি ভালবাসার উদ্রেক হয়। আমরা যেন আমাদের সৃজনশীলতা থেকে বিচ্যুত না হই। অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, এ প্রতিযোগিতা আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের মুক্ত চিন্তায় আরও উদ্বুদ্ধ করুক। আমারা বাঙালীরা ইমোশনের জাতি। আমাদের কর্মকা-ে ইমোশন বিধৃত করতে পারলে আমরা সবদিক থেকে সমৃদ্ধ হব। এর সঙ্গে বিজ্ঞান মনস্কতারও প্রয়োজন রয়েছে। আলোচনার একপর্যায়ে সেলিব্রেটিং লাইফ ফটোগ্রাফির ওপর একটি অডিওভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়। জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান ॥ অর্থনৈতিক, শিক্ষা, সমাজ উন্নয়ননহ নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে যে সব নারী সাফল্যের আলোকে নিজেকে উদ্ভাসিত করেছেন মহিলাবিষয়ক অধিতফতরের উদ্যোগে সে সব সফল নারীদের এক সংবর্ধনা দেয়া হয় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বুধবার সকালে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্যক্রমের অধীনে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ সফল নারীদের এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম আফরোজ চুমকি, বিশেষ অতিথি ছিলেন সচিব তারিক উল ইসলাম ও মহাপরিচালক বেগম সাহিন আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিভাগের কমিশনার মোঃ জিল্লার রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীকে মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করে তাদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। সরকারের বিভিন্ন নারীবান্ধব উদ্যোগের কারণে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের ফলে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের নারীর উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়ন নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। জয়িতা একজন সফল নারীর মূর্ত প্রতিচ্ছবি। বাংলার অজেয় নারী তথা জয়িতারা এখন বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন সভাপতি জিল্লার রহমান। পরে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়। এরপর জয়িতাদের সনদপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ঢাকা বিভাগে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জয়িতা নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী, শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী, সফল জননী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী। ঢাকা বিভাগের প্যানেল বিচারকের মাধ্যমে ৮৫ জন থেকে শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে নির্বাচন করে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
×