ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে চাঁদাবাজির জের

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের পর রংপুর মেডিক্যাল বন্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের পর রংপুর মেডিক্যাল বন্ধ

বিডিনিউজ ॥ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর রংপুর মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বুধবার বিকেল ৩টার মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়তে বলা হয়েছে বলে কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ জাকির হোসেন জানান। তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ্এ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মেডিক্যাল সংলগ্ন ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই গোলাম কিবরিয়া জানান, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে কলেজের ডাঃ মুক্তা ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দশজন আহত হন। পরে পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে শহীদুজ্জামান শহীদ, আসাদ ও আশিক ফেরদৌস নামের তিনজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কলেজ ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। গত বছর অক্টোবরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার আট দিনের মাথায় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ওই কমিটি বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে ওই কমিটির সভাপতি সারেয়ার আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফারহান রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ‘চাঁদাবাজির টাকার ভাগ’ নিয়ে বিরোধের জেরে মুক্তা ছাত্রাবাসের ছাত্রলীগের দুই পক্ষ রাতে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ওই ছাত্রাবাসের চারটি কক্ষে ভাংচুরও চালানো হয়। এর মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন মহফুজুল হক তালুকদার রাকিব ও শহীদুজ্জামান শহীদ নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মী। অন্য পক্ষের নেতা নাজমুল হাসান। নাজমুল হাসান বলেন, রাকিব ও শহীদের কর্মীরা চাঁদাবাজি করায় আমরা বিরোধিতা করেছিলাম। এ কারণে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। অন্যদিকে রাকিব দাবি করেন, চাঁদাবাজির কোন ঘটনা ঘটেনি। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হয়ে আমাদের তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
×