ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দৃশ্যপট বদলে গেলেও গ্রামে আছে বৈশাখের আমেজ

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

দৃশ্যপট বদলে গেলেও গ্রামে আছে বৈশাখের আমেজ

সমুদ্র হক ॥ সেদিনের সেই মেঠোপথ আর গ্রামে নেই। কালেভদ্রে চোখে পড়ে। সহজে দৃষ্টিতে আসে না খেয়াঘাট ও কোন বটতলা। সন্ধ্যা প্রদীপের সলতের আলো পাল্টে বিদ্যুতের একটি সুইচ আলোকিত করে দেয়। এখন কত এগিয়েছে গ্রাম। তারপরও বাঙালীর শেকড়ের গভীরের সংস্কৃতি হারিয়ে যায়নি। হৃদয় থেকে উৎসারিত চেতন অচেতন ও অবচেতন এই তিন স্তরের সবগুলোই পরাবাস্তব হয়ে চলে আসে বাঙালীর হৃদয় মানসপটে। খেয়াঘাট নেই তো কি হয়েছে, খেয়া পারাপার উন্নত হয়ে সেতু হয়েছে। গ্রামীণ ঢুলি তো আছে। চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণের পালায ঢুলির ঢাকের কাঠি ঠিকই বাজে। বটতলা নেই তবে বটের তলার ছায়াশীতলের স্মৃতি তো আছে। চোখমুদে খেয়ালে বাঙালী ঠিকই হৃদয় থেকে বের করে আনে বটতলার মেলার আবহ কোন পাথারে কোন হাটখোলায়। বাউল তার হৃদয়ের টানে একতারা নিয়ে বের হয়ে পড়ে মাঠে ঘাটে। গ্রামের দোকানী শিশুদের জন্য একতারা দোতারা ঢোল খেলনাপাতি পসরা সাজিয়ে বসে গ্রামের পাকা সড়কের ধারে। গ্রামের কিষাণী উঠান লেপে ঠিকঠাক করে রাখে বৈশাখের প্রথম দিনের পদচারণা শুরুর জন্য। বাঙালীর চিরন্তন মনের এমন হৃদয় নিংড়ানো বৈশাখ বরণের ছাপ পড়ল এবার গ্রামের পথে। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দক্ষিণের গাড়িদহ এলাকা বছর কয়েক আগেও ছিল একেবারে গ্রামের আবহে ভরা। ছিল মেঠো পথ। ছিল কুঁড়েঘর। আজকের চিহ্ন একেবারেই উল্টো। বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) কাছাকাছি হওয়ায় এই এলাকাটিতে এখন উন্নয়নের সকল চিহ্নই চোখে পড়ে। পাকা সড়কের উল্টো দিকে বয়ে যাওয়া নদীর রেখা মিলিয়ে যায়নি। আরডিএ’র কৃষি বিজ্ঞানের পরিচালক একেএম জাকারিয়া জানালেন আলোকিত হয়ে ওঠা এই গ্রামের অনেক গৃহস্থ ও মধ্যম কৃষক পান্তা ইলিশে নববর্ষ উদযাপন করে। গ্রামের পাকা সড়কের ধারে বাঁশিওয়ালা একতারা ও বাঁশি নিয়ে বসে। গ্রাম উন্নত হওয়ার পরও ঐতিহ্যের সকল অনুসঙ্গই তারা ধরে রেখেছে। গ্রামে কেবল সংযোগ আছে। গ্রামের মানুষও চিরন্তন গান ‘এসো হে বৈশাখ বৈশাখ এসো এসো...সুর তুলে বরণ করেছে নববর্ষকে। অগ্নিকা-ে ১৭ দোকান ৭ বসতঘর ভস্মীভূত নিজস্ব সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার, ১৫ এপ্রিল ॥ কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের ফুলেরতল বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকা- সংঘটিত হয়েছে। আগুনে মদিনা মার্কেটসহ আশপাশের ১৭টি দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার ব্রিগেডের কুলাউড়ার দুটি ইউনিট এবং বড়লেখার একটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। এ সময় আগুনে দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে ৪ জন। এদের মধ্যে শ্যামল দেব ও সেলিমকে সিলেট এম এ এজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অপর দুজন ফয়ছল খান এবং রাজু দেবকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের কাউলীবেড়া গ্রামে ও তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দী গ্রামে পৃথক দুটি অগ্নিকা-ে দুটি পরিবারের ৭টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। বুধবার দুপুর দুইটার দিকে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। কাউলীবেড়ার অগ্নিকা- ভাঙ্গার দমকল বাহিনী ও জান্দীর অগ্নিকা- এলাকাবাসী নিয়ন্ত্রণ করে। দুটি অগ্নিকা-ের ঘটনাই রান্না ঘরের চুলার আগুন থেকে ঘটেছে।
×