ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজবাড়ীতে উল্টাপথে ট্রেন

ড্রাইভারসহ গ্রেফতার তিন

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

ড্রাইভারসহ গ্রেফতার তিন

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী, ১৫ এপ্রিল ॥ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœসহ সরকারী সম্পদ, জীবনহানি, নাশকতা, অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকা- ও ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা করার অভিযোগে রাজবাড়ীতে ট্রেনের ইঞ্জিন ড্রাইভার মোহাম্মদ আলী, সহকারী ড্রাইভার ফয়সাল আহমেদ এবং গার্ড সুভাষ চন্দ্র শর্মাকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত বুধবার তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে শুধু ড্রাইভার এবং সহকারী ড্রাইভারকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। সোমবার রাজবাড়ীর স্টেশন মাস্টার মোঃ কামরুজ্জামান গত রোববার সকালে রাজবাড়ী-ফরিদপুর আন্তঃনগর এক্সেপ্রেস ট্রেনটি উল্টোপথে ২৬ কিলোমিটার চলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে রেলপুলিশ সোমবার রাত ১০টার দিকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫-এর ৩ ধারায় তাদের গ্রেফতার করে। পানি ও মাটি পড়া খাইয়ে অর্থ আদায় কচুয়ায় রোগমুক্তির নামে প্রতারণা নিজস্ব সংবাদদাতা, কচুয়া, চাঁদপুর, ১৫ এপ্রিল ॥ কচুয়ায় স্বপ্নে পাওয়া আধ্যাত্মিক ক্ষমতার নামে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলে স্বীকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া পশ্চিমপাড়া আছর উদ্দিন বেপারিবাড়িতে আমগাছ, পানি পড়া ও তাবিজের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়ির প্রবাসী জাকির হোসেনের স্ত্রী রওশান আরা (৪৫) কথিত স্বপ্নে পাওয়া আধ্যাত্মিক ক্ষমতার বলে তার বাড়ির পুকুর পাড়ে আমগাছ দিয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অর্থ আত্মসাত করছে। প্রতিদিন সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে পুরুষ-মহিলাসহ অসংখ্য মানুষ প্রতিকার পাওয়ার জন্য তার বাড়িতে ভিড় জমায়। রওশান আরার কথামতো আগত লোকজন অজু করে আমগাছকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করে, এ সময় রওশান আরা টাকার বিনিময় তাদের পড়া পানি ও আমগাছের কাছে রাখা মাটি পড়া দিয়ে থাকেন। রওশন আরা জানান, যে কোন রোগের নিয়ত করে পানি ও মাটি পড়া খেলে কঠিন বীমা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। স্বপ্নের মাধমে হুজুর আমগাছে থেকে পানি ও মাটি পড়া দিয়েছেন যা নিয়ত করে খেলে মানুষের উপকার হবে। এছাড়া রওশান আরা দৈনন্দিন দুরারোগ্য রোগের জন্য আমগাছের বাকল দিয়ে তাবিজ বানিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে অর্থ হাতিয়ে প্রতারণা করে আসছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
×