ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ ছিলেন বিনোদ বিহারী ॥ মোজাম্মেল হক

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৪ এপ্রিল ২০১৫

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের  অগ্নিপুরুষ ছিলেন বিনোদ বিহারী ॥ মোজাম্মেল হক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিপ্লবী বিনোদ বিহারীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের এক অগ্নিপুরুষ ছিলেন তিনি। ব্র্রিটিশদের এই দেশ থেকে বিতাড়িত করতে বিনোদ বিহারীর মতো বিপ্লবীদের অবদান অনেক। তারা জানত, প্রকাশ্যে আন্দোলন করে ইংরেজদের উপমহাদেশ থেকে উৎখাত করা যাবে না; ফলে বিকল্প পন্থা হিসাবে গুপ্ত পথ অবলম্বন করে উপমহাদেশকে ইংরেজদের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। সোমবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বিপ্লবী বিনোদ বিহারীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এম এম আব্দুল্লাহ রচিত ‘অগ্নিপুরুষ বিপ্লবী বিনোদ বিহারী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী মোজাম্মেল হক আরও বলেন, বিনোদ বিহারী চট্টগ্রামে যুদ্ধরত অবস্থায় ইংরেজ বাহিনী কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হন। কিন্তু ভাগ্য ভালে যে তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। পরবর্তী সময় তিনি ভাষা আন্দোলনেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি অত্যন্ত বিপ্লবী মানুষ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, বিপ্লবী বিনোদ বিহারীকে নিয়ে এত সুন্দর গ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ায় আমি অত্যন্ত মুগ্ধ। গ্রন্থটি তার জীবনের ওপর একটি সচিত্র প্রতিবদেন। কাজল দেবনাথ বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দৈন্য বইটির মাধ্যমে ঘুচে যাবে। বিপ্লবী বিনোদ বিহারীর আলোতে আমরা আলোকিত হওয়ার চেষ্টা করবো। অনুষ্ঠানে ড. সুব্রত ঘোষের সঞ্চালনা ও ড. বি বি চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তরা দীর্ঘ সময় বিনোদ বিহারীর জীবনের ওপর অলোকপাত করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোদ্ধা বিপ্লবী বিনোদ বিহারী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
×