ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যে কোন অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৪ এপ্রিল ২০১৫

প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যে কোন অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণের প্রার্থীরা। একইসঙ্গে তারা নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কমিশনের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান। সিটি নির্বাচনে কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে তারা বলেন, বর্তমান যে অবস্থা বিরাজ করছে তা নির্বাচন পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। তবে কোন কোন প্রার্থী নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের কথাও বলেন। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারকালে বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি পাওয়াসহ তারা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সে বিষয়টি উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান কেউ কেউ। সোমবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় তারা এ আহ্বান জানান। প্রার্থীদের নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজনের শেষ দিনে সোমবার ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থীদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে গত শনিবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ইসি। এরপর গত রবিবার ঢাকা উত্তরের প্রার্থীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় অধিকাংশ মেয়র প্রার্থীসহ কয়েকশ’ কাউন্সিলর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তাদের মতামত তুলে ধরাসহ বিভিন্ন অভিযোগ কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিন সিটি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচনে ভোট কারচুপিসহ, কেন্দ্র দখলের মতো কোন বেআইনী কাজ বরদাস্ত করা হবে না। তিনি সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আইন মেনে চলার আহ্বান জানান। প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রেই সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও এজেন্টেদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা এবং ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে। সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে কমিশনের আলাদা বৈঠক হবে। সে বৈঠকেই সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্বাচনে তৈরিতে এবং ভোটার ও কেন্দ্রে সুরক্ষায় তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিনি প্রার্থী ও ভোটারদের সর্বাত্মক সহযোগিত কামনা করেন। তিনি বলেন, কোন বিষয়ে অনিয়ম হলে বা অনিয়মের অভিযোগ থাকলে সুনির্দিষ্টভাবে তা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। পরে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না। সিইসি বলেন, আমরা চাই নির্বাচনে কলো টাকার ও পেশীশক্তি বন্ধ হোক। হলফনামায় কোন প্রার্থী ভুল তথ্য দিলে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কারও মুখ চিনে নয়। অভিযোগ পাওয়া গেলে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের আগে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের অভিযোগ ও মতামত তুলে ধরেন। এদিকে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা কমিশনের নানা নির্বাচন প্রচারের নানা হুমকি পাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা বলেন, হুমকির কারণে এখন তারা নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। এ কারণে ভোট গ্রহণের সাতদিন আগ থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি করেন। নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার (অব) জাবেদ আলী, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লার রহমান প্রমুখ।
×