ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে চার শ’ কোটি টাকা লেনদেন

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১৪ এপ্রিল ২০১৫

পুঁজিবাজারে চার শ’ কোটি টাকা লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও সূচকের পতন দিয়ে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। সকালে দরবৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও শেষটা ছিল পতন দিয়ে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণে সব ধরনের সূচক কমলেও প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে আগের তুলনায় বেশি। এদিন ডিএসইতে ৪১২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি। রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছিল ২৮৯ কোটি টাকা। তবে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকের মিশ্রাবস্থা দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩১১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির শেয়ার দর। সোমবার সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরুর পর ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ২৯১ পয়েন্টে। এদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৪ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৬৫৩ পয়েন্টে। বাজার পর্র্যালোচনায় দেখা গেছে, নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ারের লেনদেন শুরুর পর থেকেই নতুন কোম্পানিগুলোর প্রতি এক ধরনের বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সোমবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। দর বৃদ্ধির তালিকায় সেরা ১০টির মধ্যে ৪টিই নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি। তবে এসব কোম্পানির বেশিরভাগই সূচক গণনায় অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে সূচকের বৃদ্ধি ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারেনি। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানি লেনদেনেও প্রভাব বিস্তার করেছে। খাতভিত্তিক লেনদেনের সেরা স্থান দখল করেছে জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলো। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২৯ দশমিক ৪৮ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। কোম্পানিগুলোর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬১ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৫ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলো। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৫ কোটি টাকা, যা সার্বিক লেনদেনের ১৩ দশমিক ৫১ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছেÑ ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড, সাইফ পাওয়ার, ইফাদ অটোস, এসিআই লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, ইউনিক হোটেল এ্যান্ড রিসোর্টস, গ্রামীণফোন, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়র্ড এবং শাশা ডেনিমস। একইভাবে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কিছুটা বেড়েছে। সারাদিনে সেখানে মোট ৩৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২০৯ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ১২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স, ইফাদ অটোস, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, সাইফ পাওয়ার টেক, ইউনিক হোটেল এ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, গ্রামীণফোন ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট।
×