ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জমে উঠল লা লিগার শিরোপা লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৩ এপ্রিল ২০১৫

জমে উঠল লা লিগার শিরোপা লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই সুপারস্টার লিওনেল মেসি ও নেইমার গোল করেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। সেভিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করতে হয়েছে পরাশক্তি বার্সিলোনাকে। শনিবার কাটালানদের এই ড্রতে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা লড়াই দারুণভাবে জমে উঠেছে। কেননা পরশু রাতে এইবারকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা রেসে ভালমতোই টিকে থাকল রিয়াল মাদ্রিদ। আরেক ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২-২ গোলে ড্র করেছে মালাগার সঙ্গে। ৩১ ম্যাচ শেষে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সিলোনা। ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রিয়াল ও ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে এ্যাটলেটিকো। শীর্ষ এই তিন দলের আর বাকি সাত ম্যাচ। বার্সার ড্র’র ফলে শিরোপা লড়াইটা আরও উপভোগ্য হয়ে উঠল বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। কাতালানদের রুখে দিয়ে চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে লা লিগায় অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রেখেছে সেভিয়া। এ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও শুরু থেকেই স্বাগতিকদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে লুইস এনরিকের দল। ম্যাচের ১৪ মিনিটে মেসি জাদুতে এগিয়ে যায় বার্সিলোনা। ডি বক্সের মধ্যে থেকে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে আচমকা শটে গোল করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। লীগে এটি মেসির ৩৪ নম্বর গোল। ৩৮ গোল নিয়ে গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন রোনাল্ডো। ৩১ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দর্শনীয় গোল করেন নেইমার। এর ফলে লম্বা সময় পর গোল খরা কাটালেন ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক। লা লিগায় এ নিয়ে নেইমারের গোলসংখ্যা ১৮। দুই গোল হজম করেও দমে যায়নি সেভিয়া। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে সাফল্যও পায় তারা। ৩৮ মিনিটে এভার বানেগা দূরপাল্লার দারুণ শটে গোল করে ব্যবধান করেন ২-১। বিরতির পর সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায় সেভিয়া। আলেক্সিস ভিদালের নিচু ক্রস থেকে ৮৪ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান কেভিন গামেইরো। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ লুইস এনরিকে বলেন, আমরা ম্যাচ অনেক ভাল খেলেছি। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। প্রথমার্ধে দল অসাধারণ খেলেছে। প্রতিপক্ষ সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে। কিন্তু আমরা পারিনি। সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে এইবারের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে রিয়াল। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত স্বাগতিকরা। কিন্তু সার্জিও রামোসের শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলে ইস্কোর শট ডান পোস্টে লেগে গোল লাইনের ওপর দিয়ে গড়িয়ে বাম পোস্টে লেগে ফিরে এলে আবারও হতাশ হতে হয় সমর্থকদের। অবশেষে ২১ মিনিটে গোল পায় রিয়াল। ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে রোনাল্ডো ফ্রিকিকে গোলটি করেন। এই গোলের সুবাদে ফ্রিকিক থেকে লক্ষ্যভেদ করতে না পারার ব্যর্থতা ঘুচিয়েছেন সি আর সেভেন। রিয়ালের হয়ে ৩০০ গোলের ২৪ এসেছে ফ্রিকিক থেকে। অথচ প্রায় এক বছর ফ্রিকিকে গোল করতে পারছিলেন না পর্তুগীজ তারকা। সর্বশেষ ফ্রিকিকে গোল এসেছিল ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে বেয়ার্ন মিউনিখেল বিরুদ্ধে। আর লা লিগায় গত বছর ২৬ মার্চ, সেভিয়ার বিরুদ্ধে। এরপর ৫৬ ফ্রিকিক নিয়েছেন রোনাল্ডো, কিন্তু গোল পাননি। অবশেষে এইবারের বিরুদ্ধে ফ্রিকিক থেকে গোলখরা কাটিয়েছেন বর্তমান ফিফা সেরা ফুটবলার। বন্ধ্যত্ব ঘোচানোর গোলটির এক মিনিট পর আরও একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন রোনাল্ডো। কিন্তু সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের ৩১ মিনিটে জ্যাভিয়ের হার্নান্দেজের গোলে হেডের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। বিরতির পর ৮৩ মিনিটে রিয়ালের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন জেসে রড্রিগুয়েজ। বক্সের বাইরে থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন জেসে। ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, আমরা অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি। বড় ম্যাচগুলোতে এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
×