ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঋণখেলাপী মামলা ॥ খালেদার বিরুদ্ধে পত্রিকায় সমনের বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৩ এপ্রিল ২০১৫

ঋণখেলাপী মামলা ॥ খালেদার বিরুদ্ধে পত্রিকায় সমনের  বিজ্ঞপ্তি জারির  নির্দেশ

কোর্ট রিপোর্টার ॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে প্রয়াত কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সমন জারির আদেশ দিয়েছে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালত। ড্যান্ডি ডাইংয়ের ঋণখেলাপীর মামলায় রবিবার আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসি এ আদেশ দিয়ে আগামী ১৭ মে ইস্যু গঠনের দিন ধার্য করেছেন। গত ২৩ মার্চ একই বিবাদীগণের বিরুদ্ধে আদালতের কর্মচারীদের (প্রসেস সারভার) মাধ্যমে সমন জারির আদেশ দেয় আদালত। কিন্তু প্রসেস সারভার বিবাদীদের না পাওয়ায় বিনা জারিতে সমন আদালতে দাখিল করা হয়। ফলে রবিবার এই আদেশ দেয় আদালত। বাদী সোনালী ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে সানাউল্লাহ মিয়া মামলা পরিচালনা করেন। গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মামলার বিবাদী আরাফাত রহমান কোকো মারা যান। এরপর ১৬ মার্চ এ মামলায় বিবাদী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালত। এর আগে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মা (খালেদা জিয়া) এবং স্ত্রী-কন্যাকে আসামি করার জন্য আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সিভিল মামলায় কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। এ মামলায় বিবাদীরা হলেনÑ বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান, শামস এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, সুমাইয়া এস্কান্দার, শাহীনা ইয়াসমিন, বেগম নাসরিন আহমেদ, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান। মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফ্ফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়। ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। এর পর ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তী সময়ে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনর্তফসিলীকরণও করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বার বার কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিস দেয়া হলেও তারা কোন ঋণ পরিশোধ করেননি। এরপর ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপীর অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ‍শেখ হাসিনাকে কেন আমরা মনে রাখব?
×