ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৬.৩২ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১২ এপ্রিল ২০১৫

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৬.৩২ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের সঙ্গে কমেছে সব ধরনের মূল্যসূচক। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমার কারণে পুরো সপ্তাহে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমেছে। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তির সপ্তাহে লেনদেন আবর্তিত হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার কোম্পানিকে ঘিরেই। জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১১৩ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার ৫০৬ টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৮১ কোটি ৫৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৩২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৯৫ কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার ২৩৮ টাকার শেয়ার। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭০ দশমিক ২৪ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ দশমিক ২০ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। এদিকে, প্রধান বাজারের সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ২ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ১২৬ দশমিক ২৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ বা ৩১ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট। অপরদিকে শরিয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ২ দশমিক ১২ শতাংশ বা ২৩ দশমিক ১২ পয়েন্ট। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টি কোম্পানির, কমেছে ২৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির। আর লেনদেন হয়নি দুটি কোম্পানির শেয়ারের। গত সপ্তাহে বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতনের কারণে পিই রেশিও কমে গেছে। তবে পিই রেশিও ১৫-এর ঘরে অবস্থান করলে বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে মনে করেন তাঁরা। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬ দশমিক ৬ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩১ দশমিক ৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৭ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৮ দশমিক ৩ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৩৬ দশমিক ৬ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতের ১৩ দশমিক ২ পয়েন্টে, সাধারণ বীমা খাতের ৯ দশমিক ৯ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ২৫ দশমিক ৫ পয়েন্টে, পাট খাতের ১৪৮ দশমিক ৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৫ দশমিক ৮ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতের ১৬ দশমিক ৪ পয়েন্টে, কাগজ খাতের ৬ দশমিক ২ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৮ দশমিক ৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩১ দশমিক ২ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২০ দশমিক ৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ৩২ দশমিক ৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১০ দশমিক ৩ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১১ দশমিক ৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ইউনাইটেড পাওয়ার, এসিআই লিমিটেড, ইফাদ অটোস, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, শাশা ডেনিমস, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইউনিক হোটেল এ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড ও ফার্মা এইড। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ইউনিক হোটেল এ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, এসিআই লিমিটেড, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, ইফাদ অটোস, ইস্টার্ন ব্যাংক, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, এএমসিএল (প্রাণ), আইএলএফএসএল, তুং হাই নিটিং এ্যান্ড ডাইং লিমিটেড ও প্রথম আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ জাহিন স্পিনিং, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, আইসিবিএএমসিএল প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ইমাম বাটন, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট নিটিং এ্যান্ড ডাইং, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) অবস্থান করে ১৬ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ দশমিক ৬১ শতাংশ বা দশমিক ১৬ পয়েন্ট কম। আগের সপ্তাহে এই পিই রেশিও ছিল ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট।
×