ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চিকিৎসা কেন্দ্র বাড়ানো হলে দগ্ধ রোগীদের মৃত্যু হার হ্রাস পাবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১২ এপ্রিল ২০১৫

চিকিৎসা কেন্দ্র বাড়ানো  হলে দগ্ধ রোগীদের মৃত্যু হার হ্রাস পাবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা ও চিকিৎসা কেন্দ্র বাড়ানো হলে দগ্ধ রোগীদের মৃত্যুর হার হ্রাস পাবে। চিকিৎসকদের উন্নতমানের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণাই এ বিষয়ে সফলতা আনতে পারে। বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবারও অনেক উন্নতি ঘটেছে। তবে দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার। এতে দগ্ধ রোগীর আক্রান্ত স্থল ও চিকিৎসা কেন্দ্রের মধ্যকার দূরত্ব হ্রাস পাবে। অগ্নিদগ্ধরাও স্বল্প সময়ে চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডাঃ মিলন হলে জার্মানির একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এসব কথা বলেন। এদিন ‘বার্ন, প্লাস্টিক ও রিকনস্ট্রাকশান সার্জারি’ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চিকিৎসকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাঃ হাবিবে মিল্লাত এমপি, বিএসএমএমইউ’র কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জুলফিকার রহমান খান। ‘লস এ্যান্ড রিসটোরেশন অফ মটর ফানকশন’ বিষয়ে লেকচার প্রদান করেন জার্মানির বিজিইউ হাসপাতালের প্লাস্টিক-বার্ন-হ্যান্ড সার্জারি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সার্জন অধ্যাপক ডাঃ হেনিজ-হার্বাট হোমান্ন, ইন্টারপ্লাস্ট হাঙ্গেরি, ডাঃ জিরেগ প্যাটাকি প্রমুখ। তারা বলেন, উন্নত বিশ্বে এ চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির অনেক জটিল অপারেশন এখন সহজ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এসব রোগীদের স্বাভাবিক জীবন দিতে পেরেছে। জার্মানির বিজিইউ হাসপাতালের প্লাস্টিক-বার্ন-হ্যান্ড সার্জারি বিশেষজ্ঞ সার্জন অধ্যাপক ডাঃ হেনিজ-হার্বাট হোমান্ন বলেন, একটা সময় যেটা অসম্ভব ছিল বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান সেটা সম্ভব করেছে। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে গবেষণা। এসব গবেষণা-প্রশিক্ষণের কারণে অনেক রোগী স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে। পোড়া রোগীদের কষ্ট ও যন্ত্রণা সেই শুধু বুঝে যে আগুনে পোড়ার শিকার হয়। পোড়া রোগী সুস্থ হলেও তারা স্বাভাবিক জীবন পান না। বিকলাঙ্গ হওয়াসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। তবে পোড়া রোগীদের (যারা সুস্থ) ৯৮ ভাগই প্লাস্টিক সার্জারি করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন। অবশ্য এ চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
×