ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১২ এপ্রিল ২০১৫

চট্টগ্রামজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আলবদর নেতা জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রামজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শনিবার বিকেল থেকেই কার্যকর হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর স্পর্শকাতর পয়েন্ট ও জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা এবং জেলার সীতাকু-, মীরসরাই, হাটহাজারী, লোহাগাড়া, সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিজিবি, পুলিশ, র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। সিএমপির ১৬ থানা এবং জেলার ১৪ উপজেলার ১৬ থানা পুলিশকে সতর্কাবস্থানে রাখা হয়েছে। দুপুরে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর সংক্রান্ত প্রশাসনিক আদেশ ঢাকা কেন্দ্রীয় জেলে পৌঁছানোর পর পরই প্রশাসনের সর্বত্র বিশেষ করে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। যে কারণে স্পর্শকাতর স্পটগুলো নজরদারির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে কড়া টহল শুরু হয়েছে। সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল ম-ল ও চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হাফিজ আকতার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সন্দেহজনক সবকটি স্পট নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলোতেও পর্যবেক্ষণ চলছে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের চকবাজার, বাকলিয়া, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও এলাকাসহ বিক্ষিপ্তভাবে আরও কিছু স্পট রয়েছে যেগুলোতে জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি রয়েছে। জামায়াত-শিবিরের গোপন যে কোন মিশন শুরু করতে এসব স্থান থেকে ক্যাডার বাহিনীর তৎপরতা চলে। অপরদিকে, জেলার মীরসরাই বিশেষ করে সীতাকু-, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় জামায়াত-শিবিরের অপ্রীতিকর বিভিন্ন ঘটনার নজির রয়েছে। যে কারণে সীতাকুন্ড, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়াকে সবচেয়ে স্পর্শকাতর কেন্দ্র হিসেবে জেলা পুলিশ বিবেচনায় এনে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছে। ফাঁসি কার্যকর করার আগে ও পরে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে মহানগর ও জেলা পুলিশ প্রস্তুত বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে। র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে টহল শুরু করেছে।
×