ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যর্থতার জ্বালা নিয়েই ঘরে ফিরলেন

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১১ এপ্রিল ২০১৫

ব্যর্থতার জ্বালা নিয়েই ঘরে ফিরলেন

নামের পেছনে প্রফেসর শব্দটি থাকলে বা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে তিনি বা তারা নিঃসন্দেহে ‘বুদ্ধিজীবী’ কিংবা সংবাদপত্র-টিভির সম্পাদক-কলামিস্ট হলে তিনি ‘জাতির বিবেক’ বনে যান। সঙ্গে ‘ড.’ লাগানো গেলে তো কথাই নেই, বুদ্ধিজীবীরও বুদ্ধিজীবী বা বিবেকেরও বিবেক অভিধায় ভূষিত হন এবং সমাজের মাথায় জেঁকে বসে যান। কোন এককালে তিন ডান্তার ম্যাট্রিকুলেশনের ৪০-৪২ বছর পর কখনও ‘প্রকৌশলী’ কখনও ‘ড.’ লাগিয়ে মহাচোরও সমাজের মাথায় বসেন কিংবা বিদেশে ট্যাক্সিক্যাব চালিয়ে দেশে ফিরে ‘ড.’ লাগিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে অনুপ্রবেশ করে দাপট দেখাতে পারেন সহজে। তাদের ক্ষমতার দাপট আজকাল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দলীয় প্রধান বা জাতির জনকের ক্ষুদ্র ছবি এককোণে বসিয়ে নিজের লাইফ সাইজ ছবি দিয়ে বিশাল বিশাল বিলবোর্ড রাজপথের পাশে বসানো হচ্ছে। সামান্য পরিমিতি বোধ বা লজ্জার এতটুকু তোয়াক্কাও করে না। কেউ কেউ এই ড.-এর বদৌলতে বিদেশী এনজিও ব্যবসায় ঢুকে পড়ে। দেশ গোল্লায় যাক, তারা তো একদিকে মালপানি পকেটে পুরছে, আরেকদিকে টিভির টক-শোতে বসে দেশবিরোধী কথা বলতে পারছে। এদের কেউ কেউ নাকি ইন্টারনেটে ‘ড.’ (ডক্টরেট বা ডক্টর অব ফিলোসফি) করেছে। তবে মানতেই হবে এসব ‘ড.’-দের দাপটে সত্যিকার গবেষকরা আজকাল লজ্জায় নামের সঙ্গে ‘ডক্টর’ বা পিএইচডি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এসব তথাকথিত ‘বুদ্ধিজীবী’ বা ‘জাতির বিবেক’ বা ‘ড.’-দের বেশি বেশি দেখা যায় তখন যখন কোন অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করে। জিয়া-এরশাদের মিলেটারি শাসন হোক বা আজিজ-লতিফুর, মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অনির্বাচিত সরকার হোক। এ গোষ্ঠীটি বাংলাদেশের যত ক্ষতি করেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগও তত ক্ষতি করতে পারেনি। এরা স্বাধীনতার পর অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় ভাল মানুষ সেজে নীরব থেকেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া ক্ষমতায় এলে আবার স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। আজও তা অব্যাহত আছে। এদের প্রতীকী নাম হলো ‘ড. বুদ্ধিজীবী প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ’ বা ‘জাতির বিবেক কলামিস্ট সাদেক খান।’ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যেদিন শুরু হয়েছে সেদিন থেকে এদের চেহারা আরও বেশি উন্মোচিত হয়েছে। ইদানীং তাদের তৎপরতা আরও বেড়েছে, কারণ আলবদর কামারুজ্জামানের ফাঁসির প্রস্তুতি সম্পন্ন। খালেদা জিয়ার নির্দেশে ২০১৩ সালের পুরোটা সময় যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির-রাজাকার-আলবদররা যখন দেশব্যাপী গণহত্যা, গণধর্ষণ, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছিল এবং দেশব্যাপী গাছ কেটে, রাস্তা কেটে জ্বালাও-পোড়াও করে জনজীবন ধ্বংস করছিল তখনও ওই তথাকথিত বুদ্ধিজীবী-বিবেকরা খালেদার সঙ্গে ডুগডুগি বাজাচ্ছিল। খালেদা ক্ষমতায় গেলে মাছ না জুটুক, অন্তত কানকাটা তো জুটবে। কিন্তু হলো না, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারের পুলিশ-র‌্যাবসহ প্রশাসনের পদক্ষেপে আইনের দণ্ড গলায় পরে ঘরে ঢুকতে বাধ্য হলো। নির্বাচনের বর্ষপূর্তির ২০১৫-এর ৫ জানুয়ারির দুই দিন আগে আবার মাঠে নামার চেষ্টা করে। খালেদা এবার বাড়ি ছেড়ে রাজনৈতিক কার্যালয় গুলশানে গিয়ে ওঠেন এবং স্বেচ্ছায় অবরোধ ঘোষণা করে রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি শুরু করেন। তার নির্দেশে বা পরিচালনায় চোরাগোপ্তা হামলা, বোমা, পেট্রোলবোমা, গানপাউডার দিয়ে যানবাহনে আগুন লাগিয়ে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। টার্গেট ছিল ২০১৩ সালের ৫ মের হেফাজতের মতো জামায়াত-শিবির-ছাত্রদল সন্ত্রাসীদের বোমা, পেট্রোলবোমা, গানপাউডার, আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মাঠে নামিয়ে এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হবে, যার ফলে শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে এবং খালেদা ঘোড়ায় চড়ে সিংহাসনে আরোহণ করবেন। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী আর বিবেকরা ভেড়ার পালের মতো তার পিছু নেবে। পালের গোদা এমাজউদ্দীন আর সাদেক খানরা সভাসদের আসনে বসবেন। কী বীভৎস ছিল সেই দিনগুলো। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দুইদিন আগ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এ তিন মাসে খালেদার বোমা-পেট্রোল বোমাবাজরা দেড় বছরের কচি শিশু এবং নারীসহ দেড় শতাধিক লোককে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সহস্রাধিক মানুষ পোড়া শরীর নিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে, অনেকেই আজও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। ১৫ লাখ এসএসসি ও ১১ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস করছে। হাজারের মতো গাড়ি (গণপরিবহন) পুড়িয়ে ছাই করেছে। যাদের গায়ে এরা পেট্রোলবোমা মেরে বা গানপাউডার ছিটিয়ে অগ্নিদগ্ধ করেছে তারা নেহাতই সাধারণ নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত। যাদের একবেলা বাস-গাড়ি-টেম্পো-রিক্সা না চালালে মুখে ভাত ওঠে না, ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে বাসে করে অফিসে বা কারখানায় যেতে হয়, না গেলে মাস শেষে বেতন কাটা যাবে এবং এসিআরে দাগ পড়বে। ওই সব ‘বুদ্ধিজীবী’ ও ‘বিবেকদের’ ভাষায় তিনি ‘আপোসহীন’, ‘দেশনেত্রী’। যে ‘আপোসহীনতা’ মানুষ হত্যা করে, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে জীবন ও সম্পদ ধ্বংস করে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করে সেই ‘আপোসহীনতাকে’ ধিক্কারই জানাতে হয় এবং দেশ ধ্বংস করে যিনি ‘দেশনেত্রী’ তাকে তো জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর আগে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। ক্ষমতা তার কাছে এতই প্রিয় যে সন্তানের মৃত্যুতে কান্নার জন্য তিন সপ্তাহ নিয়েছেন। সম্ভবত ভেবেছিলেন রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে গোটা জাতিকে নিয়ে কাঁদবেন। সে আর হলো না। তাকে খালি হাতে গুলশান কার্যালয় ছেড়ে বসতবাটিতে ফিরতে হলো ব্যর্থতার জ্বালা নিয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় বলতে হয়Ñ ‘ফুলের মালা নয়, ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে ফিরতে হলো বাসায়।’ আমি এখানে ‘ব্যর্থতার গ্লানি’র পরিবর্তে ‘ব্যর্থতার জ্বালা’ শব্দ বসাতে চাই, কেননা তিনি যেভাবে মানুষ জ্বালিয়ে পুড়িয়েছেন তার কিছুটা ‘জ্বালা’ নিজেও ভোগ করুন। যে ব্যাপারটি সামনে এলো তা হচ্ছে খালেদা এখন কী করবেন? আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনও নিলেন, ঘরেও ফিরলেন। মাঝখানে ৯২টি দিন কেবল জীবনহানি নয়, কেবল মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা ও পঙ্গু করা নয়, দেশের অর্থনৈতিক যে ক্ষতি করলেন বা উন্নয়নযজ্ঞে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন, দেশের আমদানি-রফতানিতে যে ঘাটতি ঘটালেন তাও এ বাংলাদেশের মানুষকেই জীবন-যৌবন দিয়ে মেহনত করে পূরণ করতে হবে। কতদিনে এ ঘাটতি পূরণ হবে তা খালেদার জানার কথা নয়। জানার মতো শিক্ষা তো তার নেই-ই। কিন্তু এমাজউদ্দীন আহমদ বা সাদেক খানদের জানার কথা। তাদের ঘটে তো বিদ্যে আছে। তারপরও বলতে হয় এরা এত বেশি অন্ধ এবং বধির যে, দেশের কতবড় ক্ষতির কারণ হয়েছেন, তা বুঝেও বুঝছেন না। লেখা, সেমিনারে বক্তৃতা বা টিভি টক-শোর কথোপকথনে যে কথাগুলো বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন তার দুই-একটি নমুনা এখানে তুলে ধরতে চাই : ১. খালেদা জিয়া দেশে যে সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন তার কারণ নাকি প্রধানত দুটি। প্রথমত ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের ‘ভোটারবিহীন’ একক নির্বাচন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের ‘ক্ষমতা দখল’ এবং যে নির্বাচনে বিএনপির মতো তথাকথিত বড় দল তাতে অংশ নেয়নি। কাজেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অবৈধ (?) অথচ এ কথাগুলো যে নির্জলা মিথ্যা এবং মিথ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস তা বোঝার জন্য ওদের মতো নামের শেষে ‘বুদ্ধিজীবী’ বা ‘বিবেক’ হওয়ার দরকার নেই। ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেন চেষ্টা ছিল না যা করেননি। খালেদার মন ভরেনি, তার মন যে পড়ে আছে পাকিস্তানে এবং জামায়াতের অন্দরমহলে। এক কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে বসে রইলেন। শেখ হাসিনা বললেন, আসুন আমরা বসে একটা সম্মিলিত সরকার করে নির্বাচন করি। এমনকি এও বললেন, আপনি স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র নিন, তবু নির্বাচনে আসুন। তিনি শেখ হাসিনাকে ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিলেন। শেখ হাসিনা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে টেলিফোন করে বললেন, গণভবনে আসুন আমার সঙ্গে ডাল-ভাত খাবেন, খেতে খেতে আমরা সব ঠিক করব। উত্তরে যে ভাষায়, যে ভয়েসে তিনি শেখ হাসিনার কথার জবাব দিয়েছেন তা কোন রাজনৈতিক নেতা বা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নয়, কোন ভদ্রমহিলারও হতে পারে না। যথাসময়ে যথারীতি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়ে গেল। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতও হলেন। বলা হয় খালেদা নির্বাচনে অংশ নেননি, এটিও মিথ্যে কথা। তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং নির্বাচন প্রতিরোধ করার জন্য অস্ত্রশস্ত্র বোমা নিয়ে অংশ নিয়েছেন। নির্বাচন প্রতিরোধের নামে ৫৩২টি বিদ্যালয় ভবন (পোলিং স্টোর) জ্বালিয়ে দেন, প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা করে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তাদের বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয় কিন্তু নির্বাচন প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হন। এসব কি নির্বাচন বর্জন? না, বরং তারা অংশ নিয়েছেন। ভোট চাওয়া যেমন অংশ নেয়া, তেমনি না দেয়ার জন্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিরোধ করাও অংশ নেয়া। এমনকি শেখ হাসিনা এমনও বলেছিলেন, ঠিক আছে, এ নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। নির্বাচনটি হয়ে যাক, পরে আমরা বসে নতুনভাবে চিন্তা করব। খালেদা তাও মানেননি। নির্বাচন প্রতিরোধ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ‘ম্যাংগো এ্যান্ড ঘানি ব্যাগ’ দুটোই খুইয়ে বসে যান। শেখ হাসিনার প্রস্তাবটি যেহেতু মানেননি সেহেতু নির্বাচনের পরে বসে নতুন চিন্তা করার ব্যাপারটিও আর থাকেনি। তারপর নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর পশ্চিমা দেশসহ সমস্ত বিশ্ব যখন শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিল এবং আগের মতোই শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করল তখন খালেদা বা তার বুদ্ধিজীবী এমাজউদ্দীন বা সাদেক খানদের আর বলার কিছু থাকে? এক বছর চুপ থেকে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের কর্মসূচী দিলেন ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ নামে। টার্গেট ছিল ওই দিন সমাবেশের ছুতোয় হেফাজতের শাপলা চত্বরের মতো জ্বালাও-পোড়াও করে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা লুটবেন। সরকার তার খবর রাখবে না বা বুঝতে পারবে না, এমনটি কেবল মূর্খ আর বোকারাই ভাবতে পারে। তাছাড়া সরকার যেখানে দিবসটিকে ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করছে সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করতে দেবেন কেন? খালেদা জিয়া কী করতে চেয়েছিলেন তার খবর কি সরকারের কাছে ছিল না? নিশ্চয়ই ছিল বলেই সমাবেশ করতে দেননি। তার যৌক্তিকতা তো প্রমাণিত হয়েছে পরবর্তী ৯২ দিন খালেদার ঘর ছেড়ে অফিস নামক কাশিমবাজার কুঠিতে তার অবস্থান এবং বোমা-পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা, সম্পদ ধ্বংস করা। যুদ্ধাপরাধী আলবদর কমান্ডার কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের সকল পর্যায় সমাপ্ত করে কার্যকর করার অপেক্ষায়। এখন সাদেক খান ভোল পাল্টেছেন। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন। আবার বলছেন, এত বছর পর এখন আর এসব বিচার না করে সব ভুলে গিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে ঐকমত্য স্থাপন বা ‘রিকনসিলিয়েশন’-এর পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত। আসলে কমিউনিস্টরা যখন পচে তখন ফান্ডামেন্টালিস্টদেরও অধম হয়ে যায়। তাদের জানা দরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় শেখ হাসিনা। জাতির পিতার কন্যা। তিনি একবার যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেশকে পাপমুক্ত করবেনই। শেখ হাসিনা সুশাসন নিশ্চিত করে দেশের প্রধান নির্বাহী বা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্র নেতৃত্বের ব্যাপারটি এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, সেদিকে তাকাতে গেলে সাদেক খানদের মাথার জামায়াতী টুপিটা পড়ে যাবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটও চাইতে পারবে না, কারণ গায়ে যে পেট্রোলবোমা আর মানুষের শরীর পোড়া গন্ধ। ঢাকা, ৮ এপ্রিল ২০১৫ লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
×