ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে অবরোধের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা ব্যবসায়ীদের

বৈশাখী কেনাকাটা জমে উঠেছে

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১১ এপ্রিল ২০১৫

বৈশাখী কেনাকাটা জমে উঠেছে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ পয়লা বৈশাখ ঘিরে জমজমাট কেনাকাটা শুরু হয়েছে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ও সপিংমলে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। বেলা ১১টার দিকে নগরীর সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেট, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণী বিতানে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে পোশাকের দোকানে ভিড় বেশি। দোকানীরাও বৈশাখী সম্ভারে সাজিয়ে রেখেছেন দোকান। দীর্ঘ অবরোধ হরতালের পর ভাল ব্যবসার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। বৈশাখী উৎসবকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কাপড়ের ব্যবসায়ীরা। দোকানে দোকানে বৈশাখী পোশাকের সমারোহ লক্ষ্য করা গেছে। দোকানগুলোতে সাজানো হয়েছে একতারা, দোতারা, ঢুগি-তবলার ছাপ সম্বলিত পোশাক। নানা রঙের ফতুয়া, পাঞ্জাবির পাশাপাশি মেয়েদের শাড়ি, থ্রিপিচেও বৈশাখের ছাপ। লাল-সাদা রঙের পাড়ের শাড়িগুলোতে ছাপানো রয়েছে আবহমান গ্রাম বাংলার বিভিন্ন চিত্র। বড়দের পাঞ্জাবিতেও জুড়ানো হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। সাদা পাঞ্জাবির উপর ছাপানো হয়েছে নদীর পাশে রাস্তায় বসে থাকা একতারা হাতে বাউলের চিত্র। নগরীর আরডিএ মার্কেটের শিশু পোশাক বিক্রেতা চিত্রা গার্মেন্টেসের মালিক শরিফুল ইসলাম জানান, বেশ কিছুদিন থেকেই বৈশাখী পোশাকের কেনাবেচা শুরু হয়েছে। শুক্রবার ছুটির দিন ভাল বিক্রি হচ্ছে। শিশুদের ফতুয়া ১২০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এ মার্কেটে। এছাড়া ছোটদের পাঞ্জাবিও মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। এ সব পাঞ্জাবির দাম রাখা হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, টানা হরতাল-অবরোধে তিন মাস চরম ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়। আসন্ন পহেলা বৈশাখ উৎসবকে সামনে রেখে কিছুটা হলেও লাভের আশা করছেন তিনি। নগরীর শাড়ির দোকানগুলোতে বৈশাখী শাড়ির কেনা ধুম পড়েছে। আরডিএ মার্কেটের শাড়ি ভা-ার দোকানে দেখা যায় বৈশাখী শাড়ি কিনতে ব্যস্ত ক্রেতারা। এ সব শাড়ি সাড়ে ৬০০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে। পাশাপাশি পাবনার তাঁতের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকায়। সবমিলিয়ে বৈশাখকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গেছে। হরতাল-অবরোধের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুশিয়ে নেয়া যাবে বলে জানান আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
×