ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লাইনম্যানের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১০ এপ্রিল ২০১৫

লাইনম্যানের মৃত্যু

বগুড়া শহরতলির ফুলবাড়ি বিসিক এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যুতের ১১ কেভি পোলে কাজ করার সময় শহীদুল ইসলাম (৩২) নামের এক লাইনম্যান বিদ্যুতস্পৃষ্টে মারা গেছে। ওই পোল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। স্টাফ রিপোর্টর, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার ঝড়ে মুন্সীগঞ্জে বিচ্ছিন্ন হওয়া বিদ্যুত সংযোগ এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। এতে জেলার ছয়টি উপজেলার ৬৭টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ২ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহক প্রায় বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছেন। মোবাইল চার্জ ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কসহ টিভি-ফ্রিজ অচল হয়ে আছে মানুষের ঘরে। বিদ্যুত না থাকায় বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যাংক-বীমায়ও লেনদেনে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে ব্যাংকের কম্পিউটার অচল হয়ে পড়ায় প্রাহকদের লেনদেনে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। প্রচ- গরমে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছে না। ১১ কেভি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গেছে জেলায় ৬৫টি। জেলা সদর ও উপজেলা সদরে দু’দিনে বিদ্যুত সংযোগ দিতে পারলেও জেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ চালু করা সম্ভব হয়নি। জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুতলাইনের উপর গাছ পড়ে ১১ কেভি লাইনের খুঁটি ভেঙ্গেছে শ্রীনগর উপজেলায় ২২টি, লৌহজংয়ে ১৩টি, সিরাজদিখানে ১২টি, টঙ্গীবাড়িতে ৭টি, সদরে ৩টি ও গজারিয়ায় ১টি। এছাড়া ৭টি খুঁটি উপড়ে পড়েছে। মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন জানান, সদর উপজেলা ও বড় বাজারগুলোতে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় বিদ্যুত চালু করা হবে। মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, জেলায় ৩৩ কেভির ৬টি সাব-স্টেশনের মধ্যে ৬টিই চালু করা হয়েছে। তবে পুরো জেলায় ৩৯টি ১১ কেভি সাব-স্টেশনের মধ্যে ৩২টি চালু হয়েছে।
×