ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মির্জা আব্বাসের পক্ষে মাঠে স্ত্রী আফরোজা-প্রচারে বাধার অভিযোগ

ঢাকার দুই সিটিতে প্রচারে ব্যস্ত সাঈদ খোকন আনিসুল হক

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১০ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকার দুই সিটিতে প্রচারে ব্যস্ত সাঈদ খোকন  আনিসুল হক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তৃতীয় দিনের মতো প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন রাজধানীর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তবে সবার নজরে ছিল মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি আর সার্বিক কর্মকাণ্ড। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা মাঠে না নামা পর্যন্ত জমজমাট প্রচার শুরু হচ্ছে না। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়রসহ কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ঘোষণা করতে পারেন। দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘ঢাকাবাসী আমার পিতা’। ১১ এপ্রিল ইশতেহার ঘোষণার কথা জানিয়ে ভোটারদের খোলাচিঠি দিয়েছেন উত্তরের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী আনিসুল হক। আত্মগোপনে থাকা স্বামী মির্জা আব্বাসের পক্ষে দ্বিতীয় দিনের মতো মাঠে নেমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন আফরোজা আব্বাস। এছাড়াও জাতীয় পার্টি, জাসদ, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, বিকল্পধারাসহ অন্যান্য দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থীরা দিনভর মাঠে ছিলেন। কেউ কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারও করেছেন। ঢাকাবাসী আমার পিতা- খোকন ॥ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সাঈদ খোকন বলেছেন, আমার পিতা প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ আপনাদের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, আজ তিনি বেঁচে নেই তাই আপনারাই আমার পিতা। বৃহস্পতিবার ধোলাইরপাড় গ্রিন হাউজ কমিউনিটি সেন্টারে এক নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনী এই মতবিনিময়সভার আয়োজন করে শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগ। সাঈদ খোকন বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে নগরের পিতা নয়, সন্তান হিসেবে আপনাদের আলিঙ্গন করব। শ্রদ্ধা করব। তিনি বলেন, অর্ধশতাব্দী ধরে ঢাকার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। আমার নানা মাজেদ সরদার ঢাকার শেষ সরদার। বাবা প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফ ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র। তিনি আপনাদের জন্য কাজ করে গেছেন। ঢাকার সঙ্গে আমাদের অর্ধশতাব্দীর বন্ধনের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে সমর্থন দিয়েছেন, এটা আমাকে শুধু নয়, আপনাদের প্রত্যেককে এই সমর্থন দেয়া হয়েছে। আপনারা নেত্রীর এই সমর্থনকে কাজে লাগাবেন আশা করি। সাঈদ খোকন বলেন, আপনারা জানেন এখানে কিছুদিন আগে একটি শিশু হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির এই মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ২৮ এপ্রিল ব্যালটের মাধ্যমে আমাকে নির্বাচিত করুন। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমার ওপর হামলা করতে পারেন। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ বা শিশুকে হত্যা করতে পারেন না।’ আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ মেয়রপ্রার্থী বলেন, বুড়িগঙ্গার কোলঘেঁষে আমাদের এই শহর ঢাকা। এটি একটি আবেগ-ভালবাসার শহর। এর মধ্যে রয়েছে আমাদের স্মৃতি-মায়ার বন্ধন। পৃথিবীর বহু দেশ আছে, যেখানে ঢাকা থেকে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বেশি। কিন্তু ঢাকায় যে মায়া আর আবেগের সম্পর্ক আছে, সেটা কোথাও নেই। শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক ও কৃষি সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সদস্য এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শ্যামপুর থানার সাধারণ সম্পাদক সান্জিদা খানম এমপি প্রমুখ। বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে আসন্ন সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সাঈদ খোকনের নির্বাচনী প্রচারে এক মতবিনিমিয়সভায় মঞ্চ ভেঙ্গে পড়েছে। এতে কেউ খুব বেশি আহত না হলেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। গুলিস্তানের ট্রেড সেন্টারে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় এমন ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, অতিথিরা আসতেই স্থানীয় সব নেতাকর্মীও তাদের সঙ্গে মঞ্চে ওঠেন। মাইকে অনেকবার বলা হলেও সবাই মঞ্চে থাকার চেষ্টা করেন। এতে একসময় মঞ্চ ভেঙ্গে পড়লে সবাই হই হুল্লোড় শুরু করেন। পরে নেতারা তাদের কোন রকম শান্ত করে আবার কার্যক্রম শুরু করেন। সেলিব্রেটিদের নিয়ে মাঠে আনিসুল হক ॥ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী আনিসুল হক। কখনও রাজনীতিক আবার কখনও সাংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে তিনি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার আনিসুল হক প্রচার চালান মিরপুর ও এর আশপাশের এলাকায়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা ও অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। আনিসুল হক তাদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় অভিনেত্রী বাঁধনকেও আনিসুলের হয়ে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। আনিসুল হক তাঁর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি চিঠি দিয়েছেন। তাঁর চিঠিটি সম্পূর্ণ তুলে ধরা হলো। প্রিয় মা/বাবা/ভাই/বোন/বন্ধু, এ চিঠি মায়ের কাছে এক সন্তানের। বাবার কাছে পুত্রের। বোনের কাছে ভাইয়ের। পরিবেশের কাছে প্রতিবেশীর। নগরের কাছে একজন বন্ধুর। এ চিঠি একটি বাড়ির গল্প। প্রতিদিন আমরা থাকি এ বাড়িতে। এক রুক্ষ ইট-কাঠ-পাথরের ভেতর কত অভিযোগ। সবুজ নেই, স্নিগ্ধতা নেই। নেই ভাল টয়লেট, ড্রেন কিংবা হাঁটার মতো সহজ পথ। ভাবী কত কী হতে পারত! হতে পারত কত ভাল কিছু। মশা নেই, ময়লা নেই, মাদক নেই, দূষণ নেই, নেই কোন ভয়। এমন ভাল বাড়িটি কি কখনও আমাদের হবে না? হবে না, হবে না করেও তো আমরা এগিয়েছি এতদূর। তাহলে আজও কেন হাল ছেড়ে দেবো? কেন ভাবব কিছুই হবে না আর? চেয়ে দেখব, তরুণ ভাইটির ভবিষ্যতের জন্য আর তৈরি নয় এ বাড়ি! বোনের জন্য নিরাপদ। মায়ের জন্য নয় স্বাস্থ্যকর। বাবার জন্য নয় ভরসার। অথচ এই বাড়িটিই আমাদের আশ্রয়। যে ভালবাসে সে কী এমন নির্বিকার দেখে যেতে পারে প্রিয়জনের অনিশ্চিত ভবিষ্যত? এ বাড়ি অন্য কারও গল্প নয়। এ বাড়ি আপনার, আমার, আমাদের। এ বাড়ি ঢাকা উত্তর। এ বাড়ি মুক্তিযুদ্ধে কেনা, রক্তের দামে। তাই এটি শুধু চিঠি নয়, সম্পর্কের গল্প। এ সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে মানুষের, বাড়ির সঙ্গে বাড়ির, নগরের সঙ্গে নাগরিকের। বাড়ির মতো এই নগরে হেঁটে হেঁটে বড় হয়েছি আমি। শিখেছি জীবন আর কিছু নয়, অনেকগুলো সম্পর্ক। সম্পর্কগুলোকে ভালবাসা। ভাল না বাসলে যেমন সম্পর্ক বাঁচে না, বাড়ি বাঁচে না, তেমনি নগরও বাঁচে না। তাই যখন প্রতিদিন এ নগরের মুখোমুখি হই, তখনই বুঝি, এ নগরে যা সমস্যা, তা অন্য কারও নয়। অন্য কেউ এসে ঠিকও করে দেবে না। এ সমস্যা আমাদের। এর সমাধানও তাই আমাদেরই হাতে। দাঁড়াতে হবে আমাদেরই। যেমন দাঁড়ায় সাহসী মানুষ ভালর জন্য, প্রিয়জনের জন্য। আমি দাঁড়িয়েছি আপনাদের হয়ে, আপনাদের জন্য। আমাদের ঢাকা উত্তরের সমস্যা চিহ্নিত। আসছে ২৮ এপ্রিল মেয়র নির্বাচন। আমার কাছে এ নির্বাচন শুধুই নির্বাচন নয়, একটি পরিচ্ছন্ন-সবুজ-মানবিক নগর গড়ার বার্তা, একটি সমাধানযাত্রা। সাথে থাকুন এই সমাধানযাত্রায়, ভোট দিন আমাকে। আপনার একটি ভোট এগিয়ে নিতে পারে এই সমাধানযাত্রা। তাই এই ভোট দেয়া শুধু আমাকে নয়, আপনার নিজের স্বপ্নকেই এগিয়ে নেয়া। আপনার, আমার স্বপ্নের মিলিত যাত্রার এখানেই হোক শুরু।’ আগামী শনিবার রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাণিজ্যিক এলাকায় লোটাস কামাল টাওয়ারে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করবেন আনিসুল হক। ইশতেহারে থাকবে নগরবাসীর জন্য বিশেষ চমক এমনটিই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই প্রার্থী। বৃহস্পতিবার মিরপুর সাংবাদিক আবাসিক এলাকা থেকে আনিসুল হক ও তার সমর্থকরা প্রচার শুরু করেন। এ সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান এই মেয়রপ্রার্থী। বিকেলে সংসদ ভবন এলাকায় বিশিষ্টজনদের নিয়ে জনসংযোগ করেন আনিসুল হক। তখন কয়েক তরুণ সাদা কাপড়ে নগরীর বিভিন্ন সমস্যার কথা লিখে তাঁর হাতে তুলে দেন। নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ আফরোজার ॥ আত্মগোপনে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে তৃতীয় দিনের মতো প্রচারে নেমেছেন তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মালিবাগের শান্তিবাগ প্রাইমারী স্কুলের সামনে থেকে প্রচার শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে মালিবাগ টুইন টাওয়ার কনকর্ড শপিং কমপ্লেক্সর সামনে সাংবাদিকদের কাছে আফরোজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নির্বাচনী প্রচারের কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে। ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় নজর রাখছে। এরপর বিকেলে কমলাপুরেও প্রচার চালান তিনি। এদিকে মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচার চালানোর জন্য ৫৭টি ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় বিএনপির সভাপতি, আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনাররা। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা দেবে বিএনপি ॥ ‘সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় সমর্থিত প্রার্থীদের নামের তালিকা সত্বর ঘোষণা করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের দেখভাল করা ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’র প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের বড় পরিসরে সমাবেশের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। গুলশানে চেয়ারপার্সনের বাসভবনে এ আলোচনা হবে। সেখানে মেয়র ও দুই সিটির কাউন্সিলরদের বিষয়েও কথা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের বরাদ্দ পাওয়া গেলে দু-এক দিনের মধ্যে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলের সমর্থিত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সিপিবির আহ্বান ॥ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা কমিটির কর্মিসভায় আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নীতিহীন রাজনীতিক ও তার সমর্থিত প্রার্থীদের ‘না’ ও নীতিনিষ্ঠ রাজনীতিকদের ‘হ্যাঁ’ বলার মধ্য দিয়ে নিষ্ঠাবান প্রার্থীদের জয়ী করতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে সিপিবি ঢাকা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সাজেদুল হক রুবেল, ৪৫নং ওয়ার্ডের কমিশনার পদপ্রার্থী আবু তাহের বকুল, জাহিদ হোসেন খান, এ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, মোসলেহউদ্দিন, আসলাম উদ্দিন, পরেশ চন্দ্র মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান মিলন প্রমুখ। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল ক্বাফীর নির্বাচনী প্রচার তেজগাঁও নাবিস্কো মোড় থেকে শুরু হয়। এরপর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড মোড়, মহাখালী, নাখালপাড়াসংলগ্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় মেয়রপ্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, যুব ইউনিয়নের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আব্দুল মান্নানসহ বাসদ, যুব ইউনিয়ন ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। গণসংযোগ শেষে মহাখালী চৌরাস্তায় একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় মেয়রপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল ক্বাফী তাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করার মাধ্যমে সবার জন্য বাসযোগ্য মানবিক ঢাকা গড়ে তোলার সুযোগ দিতে আহ্বান জানান। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলারও অঙ্গীকার করেন। যেখানেই যাচ্ছি, সমর্থন পাচ্ছিÑ নাদের ॥ নির্বাচনী প্রচারে যেখানে যাচ্ছেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন জাসদ সমর্থিত উত্তরের মেয়রপ্রার্থী অভিনেতা নাদের চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের নিজ বাড়ির কাছ থেকেই নির্বাচনী প্রচার করেন তিনি। খ্যাতিমান এই অভিনেতা বলেন, জনগণ আমাকে পছন্দ করে, করছে। পথসভাগুলো জনসভা হয়ে যাচ্ছে। এতেই আমি বুঝতে পারছি, ঢাকা উত্তরের মানুষ আমাকে মেয়র হিসেবে দেখতে চায়। তিনি বলেন, শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, আমি কাজে বিশ্বাসী। আমি যা বলব, নির্বাচিত হলে তা করে প্রমাণ দেব। আসছে পহেলা বৈশাখের পর নাদের চৌধুরী তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করবেন। এ ইশতেহারে উত্তরের বাসিন্দাদের মনের কথা ও সম্ভাবনার কথা থাকবে বলে তিনি জানান।
×