ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আফ্রো-এশীয় সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী ২১ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৯ এপ্রিল ২০১৫

আফ্রো-এশীয় সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী ২১ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আফ্রো-এশীয় শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছেন। ২২-২৪ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আয়োজিত এই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর নিউজিল্যান্ড সফর করার কথা থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে তা বাতিল করা হয়। এবার ইন্দোনেশিয়া সফর নিয়ে প্রথমে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সেই সফর নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২১ থেকে ২৪ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া সফর করবেন। আগামী ২৫ এপ্রিল তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। আফ্রো-এশীয় সম্মেলন চলাকালে জাপান, চীন, মিয়ানমার ও মালয়েশিয়ার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে। ৬০ বছর আগে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের আলোকে আফ্রো-এশীয় সম্মেলনের যাত্রা শুরু হয়। এ বছর এর ৬০তম বার্ষিকী পালিত হবে। আফ্রো-এশীয় কৌশলগত অংশীদারিরও ১০ বছর পূর্তি উদযাপিত হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল আফ্রো-এশীয় সম্মেলনের সচিব পর্যায়ের এবং ২০ এপ্রিল মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ২২-২৪ এপ্রিল শীর্ষ সম্মেলনে প্রায় ১০৯টি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। এছাড়া আরও ১৬টি পর্যবেক্ষক দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালের ১৮-২৪ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম আফ্রো-এশীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর সেই সম্মেলনের ৬০ বছর পূর্তি হচ্ছে। ৬০ বছর পূর্তিতে এই সম্মেলনকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ-গায়ানা এফওসি বৈঠকে সম্মত ॥ বাংলাদেশ ও গায়ানার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে নিয়মিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের (এফওসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দুই দেশ প্রাথমিকভাবে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত গায়ানার অনাবাসী হাইকমিশনার জয়রাম রোনাল্ড গজরাজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতে নিয়মিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের বৈঠক বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ঐকমত্য প্রকাশ করে দুই দেশ। সাক্ষাতকালে হাইকমিশনার গজরাজ দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক কল্যাণে একটি যৌথ কমিশনের মাধ্যমে কাজ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন। গায়ানার অনাবাসী হাইকমিশনারের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের (এফওসি) বৈঠক অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ নির্ধারণে একটি কর্মকাঠামো তৈরি করা যেতে পারে। মন্ত্রীর এ প্রস্তাবে গায়ানার হাইকমিশনার তাড়াতাড়িই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের বৈঠক শুরু করার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত গায়ানার সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে বাংলাদেশের চিকিৎসক, নার্স, প্রকৌশলী, কৃষিবিদসহ অন্যান্য দক্ষ জনবল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকমিশনারকে জানিয়েছেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নবনিযুক্ত গায়ানার হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান। তার দায়িত্ব পালনকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল সহায়তারও আশ্বাস দেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে হাইকমিশনারের সর্বাঙ্গীন সাফল্যও কামনা করেন তিনি।
×