নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৮ এপ্রিল ॥ নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা একেএম মোখলেসুর রহমান রিপনকে অপসারণের দাবিতে ১৪ দিন যাবত তার অফিসকক্ষে ঝুলছে তালা। অবশেষে তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। এতে এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। বুধবার ওই বিষয়টি নালিতাবাড়ী উপজেলার গ-ি পেরিয়ে খোদ জেলা সদরে ‘টক অব দি টাউন’ হিসেবে আলোচিত হতে থাকে। বিভিন্ন অনিয়মসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগে উপজেলা মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যানসহ ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা মঙ্গলবার বিকেলে অনেকটা গোপনীয়ভাবে ওই অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তাবের কপি স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভাগীয় কমিশনার বরাবর পাঠান। বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার দুপুরে স্থানীয় প্রশাসন ওই অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করেন। জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে নালিতাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনসার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোখলেছুর রহমান ওরফে রিপনের বিরুদ্ধে প্রকল্প গ্রহণে অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, সরকারী গাড়ি ব্যবহারে নিয়ম না মানা, নিয়মিত কার্যালয়ে না আসা, অহেতুক ফাইল আটকিয়ে রাখাসহ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সাবেক প্রেসিন্ডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক ও বক্তব্যের শেষে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ওই সময় ১২ ইউপি চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান একাত্মতা প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেন। নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবু সাঈদ মোল্লা ইউপি চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গৃহীত অনাস্থা প্রস্তাবের কপি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মোখলেছুর রহমান রিপন জানান, যে সব অভিযোগের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে, তার কোন সত্যতা নেই। ওই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: