ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সোহাগপুরের প্রতীক্ষা

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ৯ এপ্রিল ২০১৫

সোহাগপুরের প্রতীক্ষা

৬ এপ্রিল ২০১৫, সোমবার। ঘড়ির কাঁটা সকাল ৯টা মাত্র অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের মোট চার সম্মানিত বিচারক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আসন গ্রহণ করেছেন। ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী মো. কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদনের ওপর চূড়ান্ত মতামত দেবেন তাঁরা। পিনপতন নীরবতা শুরুই যেন হতে পারল না। কারণ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিচারকরা উঠে দাঁড়ালেন এবং আদালত কক্ষ ত্যাগ করলেন। এর মধ্যে কয়েক সেকেন্ডে প্রধান বিচারপতি কি কথা উচ্চারণ করলেন, তাও ঠিক শোনা গেল না। তারপর কয়েক সেকেন্ডের স্তব্ধ নীরবতা। এর মধ্যে কেউ একজন বলে উঠলেন, ‘জবারবি Review petition dismissed′। অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে। রিভিউর রায়ে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল। ১০ সেকেন্ডের কম সময়ে উচ্চারিত এই কয়টি কথা শোনার জন্য সোহাগপুরের বিধবাপল্লীর এখনও বেঁচে থাকা বিধবাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৫ জুলাই ১৯৭১ তারিখ থেকে শুরু করে দীর্ঘ অতি দীর্ঘ ৪৩ বছর ৮ মাস ১১ দিন অথবা ১৩৭ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪ শত সেকেন্ড। ’৭১-এর ঘাতক যুদ্ধাপরাধী তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের আলবদর বাহিনীর কমান্ডার মো. কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মোট ৭টি অভিযোগের মধ্যে তৃতীয় অভিযোগ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার সোহাগপুর গ্রামে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীকে নিয়ে এসে গণহত্যা চালানো। যার ফলে সোহাগপুর গ্রামের একটি পল্লী পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে, যা পরে বিধবাপল্লী নামে পরিচিত হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ওপর আপীলে বিচারপতি এসকে সিনহার লেখা রায়ে বলা হয়: “হত্যা ও ধর্ষণের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি (কামারুজ্জামান) সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। ওই ঘটনা ছিল অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও বর্বর। অপরাধ সংগঠনকারীরা কেবল পুরুষদের হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তাদের হাত থেকে বিধবারাও নিস্তার পাননি। [...] এমনকি যে নারীরা অপরাধের ভয়াবহতা বুঝতে পেরে পালিয়ে গিয়ে ২-৩ দিন পর ফিরে এসেছিলেন, তারাও রেহাই পাননি।” কামারুজ্জামানের অপরাধের ভয়াবহতা ও ক্ষতিগ্রস্তদের মানসিক পীড়ন তুলে ধরতে গিয়ে আপীল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষের ১২ নম্বর সাক্ষী যখন শুনানিতে তার স্বামীকে হত্যা ও তার প্রতি নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন, তখন তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় তিনি বার বার নিঃশ্বাস নিচ্ছিলেন : “৪০ বছর পরও তিনি তাঁর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। কি বিভীষিকাময় একটা ঘটনা ছিল! একই ধরনের অভিজ্ঞতা ছাড়া অন্য কেউ এটা কল্পনাও করতে পারে না। এই সব বর্বর ঘটনায় কামারুজ্জমান সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এই কাজ কারও সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এমনকি নাৎসিরাও এ ধরনের নিষ্ঠুর কাজ করে নাই।” পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ‘বিচারের কোন পর্যায়ে কামারুজ্জামান তার এ ধরনের কাজের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেননি, বরং আস্ফালন দেখিয়েছেন। নির্বিচারে হত্যা ও ধর্ষণে তিনি সশস্ত্র গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’ রায়ে বলা হয়, আলবদর বাহিনী গঠন এবং পরে সোহাগপুর গ্রামে গণহত্যা ও বিধবাদের ধর্ষণে কামারুজ্জামানের কার্যক্রম ছিল অমানবিক ও বিভীষিকাময়। ‘এই অপরাধ সংগঠনে আমরা একজন মানুষ ও একটি জানোয়ারের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাই না।’ আদালত আরও বলেছে, ‘ঠাণ্ডা মাথায় হিসাব কষে’ কোন হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলে সাধারণ আইনেও আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়ে থাকে, কারণ এ ধরনের ঘটনা সমাজের বিবেককে নাড়া দেয়। [...] এমনভাবে তারা খুনের উৎসব চালাচ্ছিল, যেন তারা পাখি বা প্রাণী শিকার করছে।’ পূর্ণাঙ্গ রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলে, ‘আমরা এটা ভাবতেও পারি না, একজন বাঙালী হয়ে তিনি কিভাবে এ ধরনের ভয়াবহ অমানবিক কাজে যুক্ত হলেন। দণ্ডের ক্ষেত্রে কোন ধরনের কৃপা তিনি পেতে পারেন না।’ ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর ২০১১ সালের ২১ জুলাই কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত দল। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে একটি মামলায় একই বছর ২৯ জুলাই তাকে গ্রেফতারের পর ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ৩১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নেয়। পরে মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়। শেষ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল-২ ২০১২ সালের ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মোট ৭টি অভিযোগের ওপর চার্জ ফ্রেমিং অর্ডারের আদেশ প্রদান করে। ৭ জুলাই ২০১২ তারিখে শুনানি শুরু হয় এবং ১৫ জুলাই ২০১২ পর্যন্ত প্রসিকিউশনের পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১৮ জন এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দেন পাঁচজন। ২৪ মার্চ ২০১৩ তারিখে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ১৬ এপ্রিল ২০১৩ সমাপনী বক্তব্য শেষ হয়। এরপর ২০১৩ সালের ৯ মে তারিখে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল-২ কর্তৃক দেয়া রায়ে ৭টির মধ্যে ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত বলে বলা হয়। ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। ৩ নম্বর অভিযোগটি ছিল সোহাগপুর হত্যাকাণ্ড। আসামি পক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করলে আপীল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ গত ৩ নবেম্বর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে রায় ঘোষণা করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে বিচারকদের স্বাক্ষরের পর সুপ্রীমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। আসামিপক্ষ আপীল রায়ের রিভিউ চেয়ে আবেদন করলে দুই দফা শুনানি পেছানোর পর ৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে প্রায় দুই ঘণ্টার রিভিউ শুনানি শেষে পরদিন ৬ জুলাই ২০১৫ ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত আদেশ প্রদান করেন মহামান্য প্রধান বিচারপতি। তাই একদিকে সোহাগপুরের জীবন্মৃত বিধবাদের বিচার পাওয়ার অপেক্ষার পালা যেমন ছিল দীর্ঘ, তেমনি কয়েক সেকেন্ডের চূড়ান্ত আদেশ প্রদান করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগকে বিভিন্ন আইনী ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে সেই ২০১১ সালের ২১ জুলাই থেকে সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে। নানা কথা মনে পড়ে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা এবং রংপুরের একাংশ নিয়ে ছিল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ১১ নম্বর সেক্টর। সে বছরের জুলাই মাসে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়া কমান্ডো অফিসার মেজর আবু তাহের এই সেক্টরের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। আমাকে তিনি নিয়োগ দেন সেক্টর হেডকোয়ার্টারের স্টাফ অফিসার হিসেবে। অপারেশন কক্ষে ম্যাপ সাজিয়ে রাখা, ‘যুদ্ধ সংবাদ’ যুদ্ধের পরিভাষায় যাকে ‘ঝওঞজঊচ’ (ঝরঃঁধঃরড়হ জবঢ়ড়ৎঃ) বলা হয়, তা তৈরি করে ওয়্যারলেস অপারেটরের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রেরণ এবং অধিনায়কের সঙ্গে সব সময় থাকাÑ এসব দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়। সে সূত্রেই যুদ্ধের নানা গোপন সংবাদ আমার জানা হয়। আগস্ট মাসে খবর এলো হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সহযোগিতায় বদর বাহিনী গঠন করেছে কামারুজ্জামান নামের এক যুবক, যার বাড়ি শেরপুরে। তার দুই সহযোগী জামালপুর শহরের আশরাফ ও মান্নান। এরা তিনজনই জামালপুর শহরে আশেক মাহমুদ কলেজে পড়ত এবং ইসলামী ছাত্রসংঘের সক্রিয় সদস্য ছিল। ইতোমধ্যেই হানাদার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বহু হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এই তিনজন। নালিতাবাড়ির সোহাগপুর গ্রামে গণহত্যা ও বিধবা নারীদের গণধর্ষণের খবরও এলো। মেজর তাহের কয়েকবার মুক্তিযোদ্ধা দলকে পাঠিয়েছিলেন এদের ধরে নিয়ে আসতে অথবা হত্যা করতে। তা সফল হয়নি। ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চে ১১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক কামালপুরের সম্মুখযুদ্ধে এক পা হারানো কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তমকে হত্যা করলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। দেশদ্রোহিতার দায়ে কারাভ্যন্তরে এক মাসের গোপন বিচার। ফাঁসির রায় ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা কার্যকর করা হলো। অন্যদিকে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালীন ১১ নম্বর সেক্টর অধিনায়ক তাহেরের আওতাধীন এলাকায় গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত যুদ্ধাপরাধী সেই কামারুজ্জামান কর্নেল তাহেরের হত্যাকারী জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু করে ২০১১ সালের ২৯ জুলাই তারিখে ফেতারের পূর্ব পর্যন্ত কি দোর্দণ্ড প্রতাপে স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে গেল বছরের পর বছর। তারপর সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ঘাতকের বিরুদ্ধে বিচার কাজ চলেছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে এবং পরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্টে। তার প্রতি সর্বোচ্চ মানবাধিকার প্রদর্শন করা হয়েছে এসব উন্মুক্ত আদালতে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত তার আপীল গ্রহণ করেছে, দীর্ঘ সময় নিয়ে ৫৭৭ পৃষ্ঠার আপীল রায় দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আসামির পক্ষ থেকে রিভিউ গ্রহণ করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপীল বিভাগের চারজন বিচারপতি। কোন তাড়াহুড়া কেউ করেননি। রিভিউ আবেদনের শুনানিঅন্তে শেষ পর্যন্ত সেই কাক্সিক্ষত রায় ফাঁসির আদেশ বহাল রইল। ডেভিড বার্গম্যান ও তাঁর সঙ্গে মানবতাবাদী (!) সুশীলেরা আশা করি এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সামনের দিনগুলোতে তাঁদের সুপরামর্শ দেবেন। বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার দুরূহ সংগ্রামে যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় ও তা কার্যকর হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ জন্য আমাদের ধন্যবাদ পাবেন। ধন্যবাদ বাংলাদেশের সাধারণ জনগণও পাবেন, কারণ তাঁরা শেখ হাসিনাকে এই কঠিন কাজ সম্পাদনের জন্য নৈতিক সমর্থন প্রতিদিন দিয়ে যাচ্ছেন। সপরিবারে জাতির জনক, চার জাতীয় নেতা, কর্নেল তাহের হত্যার বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়, কাদের মোল্লার ফাঁসি এবং কামারুজ্জামানের ফাঁসির হাত ধরে বাংলাদেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসবে। তবে বহু পথ এখনও বাকি। মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী কাজী আরেফ আহমেদ, খালেদ মোশাররফ, নাজমুল হুদা, এটিএম হায়দার, এমএ মঞ্জুর হত্যার বিচার আজও হয়নি, যেমন হয়নি জেনারেল জিয়ার হাতে হাজারো সিপাহী হত্যার বিচার। আরও কত হত্যাকাণ্ড! এই দীর্ঘ পথ পার হলেই এর মধ্য দিয়ে বহু যুগের বিশেষ করে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে বহু আত্মদানে অর্জিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, সহনশীল, মানবিক সমাজ যা জনগণের কাছে সতত দায়বদ্ধ থাকবে, তা অর্জনে আমরা সুনিশ্চিত পদক্ষেপ ফেলতে পারব। শিরোনামে সোহাগপুরের বিধবাপল্লীর এখনও বেঁচে থাকা বিধবাদের দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হওয়ার কথা বলেছি। বাস্তবে তা শেষ হবে যখন তাঁরা দেখবেন ঘাতক কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। লেখক : অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
×