ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এক শ’তেও বিরল বিস্ময়!

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৭ এপ্রিল ২০১৫

এক শ’তেও বিরল বিস্ময়!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বয়স কোন বাধা হতে পারে না, ইচ্ছাশক্তিটাই আসল। সেই ইচ্ছাশক্তিটা এনে দিতে পারে অনেক বড় অর্জন। জ্বলন্ত উদাহরণ হতে পারেন মিয়েকো নাগাওকা। ১০০ বছর বয়সী এ বৃদ্ধা বিরল এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। প্রথম এক শ’ বছর বয়সী হিসেবে সাঁতারে ১৫০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সম্পন্ন করেছেন তিনি। তার অবশ্য সে জন্য সময় লেগেছে অনেক বেশি। ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিট সাঁতরে তিনি এ কৃতিত্ব দেখান। আশা করা হচ্ছে গিনেজ বিশ্ব রেকর্ডে তার এ অর্জনটা স্থান করে নেবে। গত বছর নাগাওকা একটি বই প্রকাশ করেছিলেন ‘আমি ১০০ বছর বয়সী এবং বিশ্বের সেরা সক্রিয় সাঁতারু’ শিরোনামে। কিন্তু সেটা প্রমাণ তো করতে হবে! বই লিখেই তো আর সেটাকে মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠা করানো যায় না। কিন্তু বাস্তবেই তা করে দেখালেন নাগাওকা। এক বছর আগেই অলিম্পিক আকৃতির এক পুকুরে তিনি ১৫০০ মিটার সাঁতরে ছিলেন। এবার পশ্চিম জাপানের ইহাইমের শর্ট কোর্সের পুলে নামলেন আরেকবার দূরত্বটা শেষ করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে। সেখানে চলছিল ১০০ থেকে ১০৪ বছর বয়সী সাঁতারুদের নিয়ে শর্ট কোর্স সাঁতার প্রতিযোগিতা। কিন্তু ১৫০০ মিটারে একক প্রতিযোগী ছিলেন নাগাওকা! গত সেপ্টেম্বরে জাপান সরকার শুমারি করে দেখেছে দেশটিতে ৫৯০০০ শতবর্ষী মানুষ আছেন। হারটি প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে ৪৬! এদের অনেকেই এখনও বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত এবং শারীরিকভাবে একেবারেই সক্ষম। ৮০ বছর বয়সে প্রথম সাঁতারের প্রতি ঝুঁকে পড়েন নাগাওকা। এরপর থেকে চেষ্টা চালিয়েছেন দারুণ কিছু করার। অবশেষে সেটা হলো। সাঁতার শেষে নাগাওকা বলেন, ‘আমি যদি বেঁচে থাকি তবে অন্তত ১০৫ বছর বয়স পর্যন্ত সাঁতার চালিয়ে যাব।’ শুধু নাগাওকা নয় দেশের গড় আয়ু অনেক জাপানের ভাল আবহাওয়া এবং নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হওয়ার কারণে। এছাড়াও জাপানে আরেকজন বিস্ময়কর রেকর্ডধারী আছেন। ১০৩ বছর বয়সী স্প্রিন্টার হিদেকিচি মিয়াজাকি বতর্মানে ১০০ থেকে ১০৪ বছর বয়সীদের প্রতিযোগিতায় বিশ্বরেকর্ডধারী ১০০ মিটারে। তিনি ২৯.৮৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে শেষ করে রেকর্ডটার মালিক। তিনি জয়ের পর সর্বকালের সবচেয়ে দ্রুততম মানব জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্টের সঙ্গে দৌড়ানোর প্রত্যয়ও ব্যক্ত করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। তার এমন ইচ্ছাশক্তির কারণে ‘বিদ্যুত’ বোল্ট নিজেও দারুণ পুলক অনুভব করেছেন। তিনি হিদেকিচিকে ‘গোল্ডেন বোল্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ইচ্ছা থাকলেও ১০০ তেও কিছু করা যায়, এসব যেন তারই উদাহরণ। ২০ বছরের প্রচেষ্টায় এবার সেটা নাগাওকা করে দেখালেন।
×