ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যাথিউর গোলে রক্ষা বার্সিলোনার

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৭ এপ্রিল ২০১৫

ম্যাথিউর গোলে রক্ষা বার্সিলোনার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘণ্টাকয়েক আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো টপকে যান লিওনেল মেসিকে। এ কারণে সবাই ধারণা করেছিলেন সেল্টা ডি ভিগোর বিরুদ্ধে জ্বলে উঠবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়কও। কিন্তু স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে তেমন স্বপ্রতিভ নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি বার্সার ক্ষুদে জাদুকর। এ কারণে ইনজুরি থেকে প্রত্যাবর্তনও মনের মতো হয়নি। বার্সিলোনার জয়টিও তাই এসেছে কোন রকমে। এ্যাওয়ে ম্যাচে ফরাসী মিডফিল্ডার জেরেমি ম্যাথিউর লক্ষ্যভেদে স্বাগতিক সেল্টা ভিগোকে ১-০ গোলে হারায় কাতালানরা। যে ভাবেই হোক না কেন, জয় পেয়েই খুশি বার্সা শিবির। খুশি হওয়ারও কথা। কেননা লীগের এখন শেষ মুহূর্তের খেলা চলছে। পয়েন্ট নষ্ট না করাই দলগুলোর লক্ষ্য। এ কারণে কষ্টার্জিত জয় হলেও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বার্সা কোচ লুইস এনরিকে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ম্যাচটি সবসময়ই উন্মুক্ত ছিল। আমরা খুব বেশি ভুগিনি। কিন্তু আমরাও খুব বিপদ সৃষ্টি করতে পারিনি। এই ধরনের ম্যাচে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত মান ফল নির্ধারক হয়। এই তিন পয়েন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বার্সিলোনার ম্যাচের আগে গ্রানাডাকে ৯-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়েছিল। কিন্তু সেল্টাকে হারিয়ে শীর্ষে থাকা বার্সা ব্যবধান আবার ৪ করেছে। ২৯ ম্যাচ শেষে বার্সিলোনার পয়েন্ট ৭১। সমান ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট রিয়াল মাদ্রিদের। দলকে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দিতে পেরে খুব খুশি ম্যাথিউ। ম্যাচ কঠিন ছিল উল্লেখ করে ফরাসী মিডফিল্ডার বলেন, গোলটি ফ্রিকিক থেকে এসেছে। কিন্তু কখনও কখনও ছোট বিষয়ও ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে। আমরা লড়াই করেছি, কিন্তু তিন পয়েন্ট আমাদের। ম্যাচের শুরুটা ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। কোন দলই তেমন ভাল সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছিল না। অতিথি বার্সিলোনার প্রথম সুযোগটি আসে ম্যাচের ১৩ মিনিটে। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেসের কাছ থেকে বল পেয়ে আচমকা দৌড়ে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ডান পায়ের জোরালো শট মেরেছিলেন মেসি। স্বাগতিক গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেয়ার পর বলটি যায় নেইমারের কাছে। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান অধিনায়কের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পর ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু শট নেয়ার আগেই তা বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডাররা। ২৯ মিনিটে বার্সিলোনার পেনাল্টি বক্সে বল পেয়েছিলেন সেল্টার নলিতো। ট্যাকল করে সে যাত্রায় দলকে রক্ষা করেন বার্সা গোলরক্ষক ক্লাওডিও ব্রাভো। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই স্বাগতিকদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বার্সা। শুরুতেই দারুণ এক শটে বল জালে জড়িয়েছিলেন নেইমার। তবে অফসাইডের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়ে গোলটি বাতিল করেন রেফারি। ৫৪ মিনিটে সংঘবদ্ধ দলীয় প্রচেষ্টায় গোলপোস্টের সামনে বল পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তার শট গোলপোস্ট খুঁজে পায়নি। অব্যাহত প্রচেষ্টার পর অবশেষে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে স্বস্তির গোল পায় এনরিকের দল। মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজের ফ্রিকিকে উড়ন্ত হেডে বল জালে জড়ান ম্যাথিউ। এই একটি গোলেই শেষ রক্ষা হয় বার্সার। শেষ দিকে অবশ্য ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু বারের ওপর দিয়ে চলে যায় তার নেয়া শটটি। গত নবেম্বরে ন্যুক্যাম্পে বার্সাকে হারিয়েছিল সেল্টা ভিগো। নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগের খেলায় তাই শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী দেখায় দলটিকে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াইটা তারা জমিয়েছিল। সেল্টার কয়েকটি আক্রমণ ঠেকাতে বার্সার রক্ষণ দৃঢ়তা না দেখালে খেলার ফল অন্য রকম হলেও হতে পারত। ম্যাচ শেষের মাত্র তিন মিনিট আগে ১০ জনের দলে পরিণত হয় সেল্টা। হাস্যকর এক ফাউলের কারণে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় স্ট্রাইকার ফ্যাবিয়ান ওরেলানাকে। বার্সা মিডফিল্ডার সার্জিও বসকুয়েটসকে তিনি ঘাসের দলা ছুড়ে মারেন।
×