ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জোকোভিচের পঞ্চম শিরোপা মিয়ামি মাস্টার্সে

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৭ এপ্রিল ২০১৫

জোকোভিচের পঞ্চম শিরোপা মিয়ামি মাস্টার্সে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবারও ব্যর্থ হলেন ব্রিটিশ তারকা এ্যান্ডি মারে। বিশ্বের এক নম্বর, সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচের কাছে আবারও পরাজয় বরণ করলেন তিনি। বার বার অগ্রযাত্রাটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ওই জোকোভিচের কাছে গিয়েই। গতবার মিয়ামি মাস্টার্সের কোয়ার্টার ফাইনালে সার্ব তারকার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিলেন। এবার ফাইনালে ওঠে পরাজিত হলেন। তীব্র লড়াইয়ের পর হেরে গেছেন ৭-৬ (৭-৩), ৪-৬, ৬-০ সেটে। বাগদত্তা কিমস সিয়ার্সের জন্য একটি শিরোপা উপহার দিতে পারলে সোনায় সোহাগা হতেন মারে। আগামী শনিবারই কিমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন ২৭ বছর বয়সী মারে। নববধূর জন্য বিয়ের উপহারটা যেন ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন জোকোভিচ। কিমের সামনে পরাজয়ের গ্লানিই সঙ্গী হলো তার। তবে এরপরও একটি পুরস্কার জুটেছে মারের। র‌্যাঙ্কিংয়ের চার থেকে তিনে উঠে এসেছেন তিনি। আর জোকোভিচ প্রথম টেনিস তারকা হিসেবে টানা মিয়ামি ওপেন-ইন্ডিয়ান ওয়েলস ও মিয়ামি মাস্টার্স জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। মিয়ামিতে এটি তার পঞ্চম আর ক্যারিয়ারের ৫১তম শিরোপা জয়। মিয়ামির ক্র্যানডন পার্কটার সঙ্গে বেশ ভাল পরিচিতি মারের। কাছাকাছিই একটি বাড়ি কিনেছেন তিনি। অনুশীলনও করেন ক্র্যানডন পার্কে। নিজের ঘরের টেনিস কোর্ট তার জন্য এটি। স্বাভাবিকভাবেই ফেবারিটও ছিলেন এবার মিয়ামি মাস্টার্স নিজের হাতে তোলার ক্ষেত্রে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন জোকোভিচ তখন সম্ভবত আর কোন হিসেব-নিকেশে কাজ হয় না। হারটাই ললাটে লেখা থাকে মারের। তাছাড়া সর্বশেষ ৫ সাক্ষাতেও জোকোভিচের কাছে হেরেছেন তিনি। কিন্তু আজীবনের শত্রুতেই যেন পরিণত হয়েছেন জোকোভিচ। বয়সে মাত্র ৭ দিনের বড় মারে। উচ্চতাও সমান। তবে ফলাফলের দিক থেকে এবং র‌্যাঙ্কিংয়ে মারেকে ছাড়িয়ে গেছেন জোকোভিচ। ক্র্যানডন পার্কেও শুরু থেকেই যেন অতীত ইতিহাসটাই হানা দিতে থাকল। প্রথম সেটেই পিছিয়ে গেলেন ৪-০ ব্যবধানে। তবে সেখান থেকে বেশ দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেটের ভাগ্যটা গড়ায় টাইব্রেকে। জোকোভিচের সঙ্গে আর পেরে ওঠেননি। হেরে গেছেন প্রথম সেট। তবে দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান মারে, জেতেন ৬-৪ সেটে। ম্যাচ নির্ধারণী তৃতীয় সেটে জোকোভিচের আসল রূপটা দেখলেন মারে। বাগদত্তা কিমের উপস্থিতিও তার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে এলো না। ৬-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হলেন। ২৬ বার জোকোভিচের মুখোমুখি হয়েছেন। এবার মিয়ামির পরাজয়টাসহ তিনি হারেন ১৮ বার। জিততে পেরেছেন মাত্র ৮ বার। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালেও দুঃখটা সঙ্গী হয়েছিল। ইন্ডিয়ান ওয়েলসের সেমিফাইনালে ছিটকে গিয়েছিলেন জোকোভিচের কাছে হেরেই। বার বার এ সার্বিয়ানের কাছেই বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন মারে। দুর্দান্ত ফর্মেই আছে জোকোভিচ। এ জয়ের ফলে শীর্ষস্থানে আরও অন্তত একটা সপ্তাহ টিকে থাকা নিশ্চিত হয়েছে। এর আগে স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদাল ১৪১ সপ্তাহ শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছিলেন। জোকোভিচও তার সমকক্ষ হয়ে গেলেন। পরাজয়ের পর মারে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার বছরটা দারুণভাবে শুরু হয়ে ভালভাবেই চলছে। কিন্তু নোভাক যে পর্যায়ে আছেন আমি এখন পর্যন্ত সেখানে পৌঁছতে পারিনি। তবে আমি অনুভব করছি সেখানে আমি অচিরেই পৌঁছব। আমার শুধু কঠিন পরিশ্রম করে যেতে হবে।’ আর মিয়ামিতে আরেকটি জয়ের পর জোকোভিচের দৃষ্টি ভবিষ্যতে। তিনি বলেন, ‘কোন মৌসুমে এরচেয়ে ভাল শুরু আমি আশা করতে পারি না। তিন বড় শিরোপা জিতেছি। আশা করছি আসন্ন ক্লে-কোর্ট ইভেন্টগুলোয় সাফল্য ধরে রাখতে পারব।’
×