ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গরমে স্যুট-টাই পরায় ভর্ৎসনা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৭ এপ্রিল ২০১৫

গরমে স্যুট-টাই পরায় ভর্ৎসনা প্রধানমন্ত্রীর

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নির্দেশনা না মেনে গরমের মধ্যেও স্যুট-টাই পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভর্ৎসনা শুনেছেন কয়েক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। মার্চ থেকে নবেম্বর পর্যন্ত অফিসে স্যুট-টাই না পরার নির্দেশনা থাকলেও সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে যেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ওই পোশাক পরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী তাদের ‘বকা’ দিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। আনুষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতা ছাড়া মার্চ থেকে নবেম্বর পর্যন্ত অফিসে স্যুট-টাই না পরতে ২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর সরকারী, আধা-সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২০১২ সালের ৫ জুন নতুন করে ওই আদেশ ফের প্রকাশ করে স্যুট-টাইয়ের পরিবর্তে প্যান্ট ও শার্ট (অর্ধ/পুরোহাতা) পরার কথা মনে করিয়ে দেয় সরকার। বিদ্যুত সাশ্রয়ে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পুরুষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও মার্চ থেকে নবেম্বর পর্যন্ত স্যুট-টাই না পরে প্যান্ট-শার্ট পরতে ২০০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর অনুরোধ জানায় সরকার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মন্ত্রী জনকণ্ঠকে বলেন, বৈঠকের শুরুতেই কয়েক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরমে স্যুট-টাই পরে এসেছেন কেনÑ এটা কি আমাদের ড্রেস না কি? ওগুলো ব্রিটিশদের ড্রেস। ব্রিটিশদের গোলামি করেছেন, তার অভ্যাস এখনও যায়নি। বৈঠকে উপস্থিত আরেক মন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফিস্্ ফিস্্ করে প্রধানমন্ত্রীকে কিছু একটা বলেন। এরপরেই স্যুট-টাই নিয়ে কথা বলা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবারের বৈঠকে ওবায়দুল কাদেরকে স্যুট-টাই পরা অবস্থায় দেখা যায়নি। সকাল দশটায় মন্ত্রিসভা বৈঠক শুরুর পরপর প্রধানমন্ত্রী স্যুট-টাই নিয়ে যখন কথা বলছিলেন তখনও মন্ত্রিসভার সব সদস্য বৈঠকে এসে উপস্থিত হননি বলে জানান ওই মন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মন্ত্রী বলেন, ‘স্যুট-টাই’ পরা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলার পর এক মন্ত্রী পাজামা-পাঞ্জাবি পরে আসবেন কি না, জানতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তখন সরকারের নির্দেশনার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
×