ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পূর্বাঞ্চল হারাল সহজেই দক্ষিণাঞ্চলকে

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৬ এপ্রিল ২০১৫

পূর্বাঞ্চল হারাল সহজেই দক্ষিণাঞ্চলকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ (বিসিএল) শুরু হয়েছে রবিবার। প্রথমদিনে মাশরাফির দক্ষিণাঞ্চলকে সহজেই ৬ উইকেটে হারায় মুমিনুল হকের পূর্বাঞ্চল। দিবারাত্রির ম্যাচে টস জিতে পূর্বাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলকে ব্যাট করতে পাঠায়। শুরু থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটিং শিবিরে আঘাত হানতে থাকেন পূর্বাঞ্চল বোলাররা। আরাফাত সানিত দুর্দান্ত বোলিং করেন। ৪ উইকেট তুলে নেন। ৩৮.৫ ওভারে ১২২ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল। সৈকত আলী যদি ৫১ রান না করতেন, তাহলে দক্ষিণাঞ্চল আরও আগেই গুটিয়ে যেত। দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটিং ধস নামানো অবশ্য শুরু করেন আবুল হাসান রাজু। বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ হওয়া ইমরুল কায়েসকে দলের ২৮ রানেই সাজঘরে ফেরান রাজু। সেই যে ধস শুরু হয়। শেষে মাত্র ৮ রানেই (১১৪ থেকে ১২২ রান) ৬ উইকেটের পতন ঘটে যায়! এত কম রান নিয়ে কী আর ৫০ ওভারের ম্যাচ জেতা যায়। যদি কোন অঘটন না ঘটে। সেই রকম কিছুর আলামতই মিলতে দিলেন না পূর্বাঞ্চল ব্যাটসম্যানরা। উইকেট গেল ৪। তবে ২৬ ওভারে ১২৩ রান করেই জয় তুলে নেয় মুমিনুল হকের দল। সহজ জয়ই পায় পূর্বাঞ্চল। লিটন কুমার সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন। রুবেল হোসেন ২ উইকেট নেন। তাসামুল ২২ রান করে থাকেন অপরাজিত। রবিবার শুরু হয়ে গেল বিসিএল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক মনজুর কাদের টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। বিসিএল শুরুর দিন বিসিবির সভা থাকায় সব পরিচালকই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন। বিসিএল করা হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেহেতু শুরুতেই ওয়ানডে সিরিজ এ জন্য বিসিএল এবার প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ফরমেটে হচ্ছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দিকেই তাই নজরও থাকছে তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমদিনে ব্যাটসম্যানরাই ব্যর্থই হয়েছেন। সেই তুলনায় বোলাররা নিজেদের মেলে ধরেছেন। তামিম ইকবাল ওমরাহ হজ করতে যাওয়ার বিসিএলে খেলছেন না। এনামুল হক বিজয় এখনও ইনজুরি থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেননি। রবিবার প্রথমদিন ২৫ মিনিটের ব্যাটিং করেছেন। সাকিব আল হাসান আইপিএল খেলতে গেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের আল আমিন ও উত্তরাঞ্চলের শফিউল ইসলাম খেলারই সুযোগ পাননি। এই ক্রিকেটারদের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সৌম্য সরকারও প্রথমদিন খেলেননি। এছাড়া বিশ্বকাপের বাকি সবাই খেলেন। দক্ষিণাঞ্চলের ইমরুল কায়েস ১০, পূর্বাঞ্চলের মুমিনুল ১৪ রান করেছেন। সেই তুলনায় পূর্বাঞ্চলের আরাফাত সানি ৪ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের মাশরাফি ১ উইকেট নিলেও রুবেল ২ উইকেট শিকার করেছেন। স্কোর ॥ দক্ষিণাঞ্চল ইনিংস ॥ ১২২/১০; ৩৮.৫ ওভার (সৈকত ৫১, ইমরুল ১০, মিঠুন ১৫, মোসাদ্দেক ৮, তুষার ১৪, নূরুল ১২, জিয়াউর ০, সোহাগ ৮, মাশরাফি ০*, রাজ্জাক ০, রুবেল ০; আরাফাত ৪/১১, নাবিল ২/২১, মুমিনুল ১/৯)। পূর্বাঞ্চল ইনিংস ॥ ১২৩/৪; ২৬ ওভার (লিটন ৪৫, সাদমান ১১, মুমিনুল ১৪, তাসামুল ২২*, কাপালী ১০, আসিফ ৮; রুবেল ২/২৮)। ফল ॥ পূর্বাঞ্চল ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ আরাফাত সানি (পূর্বাঞ্চল)।
×