ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কক্সবাজারে হতদরিদ্র ১১৬ নারী শ্রমিকের মজুরি আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৬ এপ্রিল ২০১৫

কক্সবাজারে হতদরিদ্র ১১৬  নারী শ্রমিকের মজুরি  আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারে পল্লী সড়ক মেরামত তথা রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত হতদরিদ্র শতাধিক নারী শ্রমিকের মজুরি থেকে সঞ্চয়কৃত সোয়া চার লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট দফতরের দুইজন কর্মচারী কৌশলে ব্যাংক থেকে উত্তোলন শেষে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রামু উপজেলায় পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত হতদরিত্র ১১৬ নারী শ্রমিক তাদের জমানো টাকা না পেয়ে নিরাশ হয়ে পড়েছে। অভিযোগ পেয়ে কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম সিদ্দিকীর নির্দেশে গত এক সপ্তাহ ধরে তদন্ত করা হয়েছে। রামু উপজেলা প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তদন্তে এ অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হলে তোলপাড় শুরু হয়। পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ (আরএমপি) এবং এমপ্লয়মেন্ট এ্যান্ড রোড মেইনটেন্যান্স প্রোগ্রাম(আরইআরএমপি-২) এর আওতায় ওইসব নারী শ্রমিক রামু উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে আসছে। হতদরিদ্র নারীরা তাদের জমানো অর্থ ফেরত পেতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। জানা যায়, তাদের মাথাপিছু দৈনিক বেতন ১৫০ টাকা মজুরি থেকে নগদ ১শ’ টাকা পরিশোধ করে ৫০ টাকা হারে ব্যাংক হিসেবে জমা রাখা রয়েছে। যাতে প্রকল্প শেষে সেই জমাকৃত টাকা শ্রমিকদের পরিশোধ করা যায়। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের কার্য সহকারী ও প্রকল্পের কমিউনিটি অর্গানাইজার মাকসুদ আলম এবং সুপারভাইজার আবু তাহের নানা কৌশলে ব্যাংকে জমাকৃত সোয়া ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে সোনালী ব্যাংক রামু শাখার সঞ্চয়ী এ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে নারী শ্রমিকদের টাকা হাতিয়ে নেয়ায় সর্ব শ্রেণীর পেশাজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিতান্ত গরিব ও অসহায় ওই নারীদের রোজগারকৃত টাকা আত্মসাতকারী দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে প্রকল্পের সিও মাকসুদ আলম অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে জানান, ব্যাংক থেকে কিভাবে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তা তদন্ত হচ্ছে। সুপারভাইজার আবু তাহের জানান, তারা নিয়ম মেনেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। ব্যাংকে সঞ্চয়কৃত টাকা আত্মসাতের সঙ্গে তিনি জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
×