ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তার পাদপীঠ ॥ এ কে আজাদ চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৫ এপ্রিল ২০১৫

বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তার পাদপীঠ ॥ এ কে আজাদ চৌধুরী

জাবি সংবাদদাতা ॥ “বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তার পাদপীঠ। এখানে হাজারও পরিবার থেকে আসা ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ধর্ম, চিন্তা, আর্থসামাজিক কাঠামো, সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে দ্বৈত অনুভূতি ও মতভেদ থাকার পরেও নিয়ম শৃঙ্খলা ও আদর্শ অনুসরণের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সুন্দর, সফল ও মেধাবী জীবন গঠন করা সম্ভব।” জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪ তম ব্যাচের নবাগত শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিকৃত ৪৪ তম ব্যাচের নবাগত শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে এ প্রবেশিকা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানের জন্য উপস্থাপন করলে স্ব স্ব অনুষদের ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকগণ নবাগত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য বরণ করেন। নারায়ণগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় স্কুল শিক্ষক জহিরুলের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জহিরুল হক পলাতক রয়েছে। ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে ঢাকার মাতুয়াইল মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড়ের সময় উপজেলার মালিবাগ দড়িপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটলেও ঘটনাটি এতদিন প্রকাশ পায়নি। কিন্তু ঘটনা পৌনে ৪ লাখ টাকায় ধামাচাপা দেবার চেষ্টা হওয়ায় তা প্রকাশ হয়ে পড়ে। তবে ওই ঘটনায় এখনও থানায় কোন মামলা হয়নি বলে বন্দর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান। অভিযুক্ত শিক্ষক জহিরুল হক পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাজিরগাঁও গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউপির মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শিক্ষক জহিরুল হকের কাছে ওই স্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী ঘটনার ১৫ দিন আগে থেকে প্রাইভেট পড়ছিল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে একই গ্রামের আবু তাহের গেদার বাড়িতে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়ার সময় প্রচ- ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এ সুযোগে স্কুল শিক্ষক জহিরুল ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীর বিয়ে ॥ সৈয়দপুরে তোলপাড় বরকে আটকে রাখার অভিযোগ স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর সহপাঠী দুই ছাত্রছাত্রীর মধ্যে বাল্যবিয়ে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। ছাত্রটির অভিভাবকদের পক্ষে জোরপূর্বক ধরে ছাত্রটিকে ওই ছাত্রীর সাথে বাল্য বিয়ে দেয়া হয়েছে বলেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগে জানানো হয়, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডী ইউনিয়নের সোনাপুকুর চাকলা গ্রামের তোফায়েলের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে রুবেল(১৪) নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কামারপুকুর বাগানবাড়ী গ্রামে তার মামা বাবুল হোসেনের বাড়ি থেকে কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ে। ঘটনার দিন ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় আবু তাহের তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। ওই আবু তাহেরের মেয়ে সোহাগীও রুবেলের সাথে একই স্কুলের একই ক্লাসে পড়ে। বাড়িতে ডেকে রুবেলকে আটকিয়ে ছাত্রী সোহাগীর বাবা আবু তাহের ও মা মঞ্জিলা বেগমসহ তাদের নিকটাত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় স্থানীয় এক নিকাহ্ রেজিস্ট্রার ( কাজী) রুবেল ও সোহাগীর মধ্যে ডেকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়া হয়। আর ওই বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) মোঃ রোস্তম আলী। ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলছাত্র রুবেলের মামা ও মামি বাল্যবিয়ে বাধা দিতে গেলে তাদের লাঞ্ছিত করে তাড়িয়ে দেয়া হয় এবং ওই বাল্যবিয়ে দেয়ার পর থেকে স্কুলছাত্র রুবেলকে সোহাগীদের বাড়িতে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্র রুবেলের মামি মোছাঃ লিপি আক্তার শুক্রবার রাতে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
×