ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মসজিদের ইমাম নিয়ে দ্বন্দ্ব

তিতাসে বাস্তুহারা লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৫ এপ্রিল ২০১৫

তিতাসে বাস্তুহারা লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, দাউদকান্দি, ৪ এপ্রিল ॥ কুমিল্লার তিতাসে বাস্তুহারালীগ নেতা মোঃ মিজানুর রহমানকে (৪৭) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের রোশনের ছেলে কথিত ওহাবি আবুল বাশার ও তার ভাই বড় আলাউদ্দিনসহ অনেকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ১নং সাতানি ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামে শুক্রবার রাতে। নিহত মিজান ওই গ্রামের সমাজ সেবক শহিদুল্লাহ সওদাগরের দ্বিতীয় ছেলে ও তিতাস উপজেলা বাস্তুহারা লীগের আহ্বায়ক। এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিতাস উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের মধ্যপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম রাখাকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা দ্বন্দ্ব ও বাকবিত-ার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক পর্যায়ে মিজানুর রহমান পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে পরিকল্পিতভাবে আলাউদ্দিন, আবুল বাশার, মফিজ, ইদ্রিস ও বারেকসহ আরও ৭/৮ জন মিলে মিজানের ওপর চড়াও হয়। সবাই মিলে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মিজান। মিজানের বড় ভাই শাজাহানসহ প্রতিবেশীরা তাকে আহতাবস্থায় দাউদকান্দির গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠায়। এদিকে মিজানের মৃত্যুতে তার পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের মাতম চলছে। পরিবারের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে। এলাকার আকাশ-বাতাস। কাঁদছে অকালে হারিয়ে মিজানের সহকর্মীরাও। নিহতের বড় ভাই শাজাহান কান্নাভেজা কন্ঠে জানায়, আমার ভাইকে ওরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা শান্তির জন্য মসজিদের ভেতরে গ-গোলের জন্য বারণ করেছি। আর ওরা সবাই পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। কিশোরগঞ্জে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৪ এপ্রিল ॥ জেলার হাওড় অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম উপজেলায় পানির স্তর ভূগর্ভের বেশি নিচে চলে যাওয়ায় বিভিন্ন গ্রামের টিউবওয়েলগুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী নদী থেকে প্রয়োজনীয় পানি এনে তা ফুটিয়ে পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার হাওরাঞ্চলের বেশির ভাগ গ্রামের টিউবওয়েলগুলোতে প্রতিবছর ফাল্গুন মাস থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত পানির অভাব দেখা দেয়। এ সময় পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে পানি উপরে উঠছে না। তাই বাড়িতে টিউবওয়েল থাকলেও বাধ্য হয়েই নদীর পানি এনে ফুটিয়ে পান করতে হয়। অষ্টগ্রাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওয়ালিউল হোসেন জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের টিউবওয়েলগুলোর মধ্যে পুরনোগুলোতে পানি কম বের হচ্ছে। তবে নতুন টিউবওয়েলগুলোয় পানি স্বাভাবিকভাবেই আসছে। তিনি আরও জানান, এই মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে টিউবওয়েল স্থাপন করা হলে পানির এ সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
×