ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র

চাঁপাইয়ে কর্মহীন পড়ে আছে টেলিগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৫ এপ্রিল ২০১৫

চাঁপাইয়ে কর্মহীন পড়ে আছে টেলিগ্রাম অফিস

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ টরে টক্কার টেলিগ্রাম অফিস। ১৫ বছর ধরে কোন কাজ নেই। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রচলন, সঙ্গে মোবাইল আসায় এখন আর এই টরে টক্কার দিকে মানুষ ফিরেও তাকায় না। এমনকি এক সময়ে জরুরী সংবাদ প্রিন্ট মিডিয়ায় পাঠানোর তাৎক্ষণিক কাজে এই টরে টক্কায় ছিল একমাত্র ভরসা। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ব্যবহারেও টেলিগ্রাম ছিল জন সাধারণের একমাত্র অবলম্বন। পরবর্তীতে জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সংযোজন করা হয়েছিল ল্যান্ড টেলিফোন। টেলিগ্রাম অফিসের নতুন নাম হয়েছিল পিসিও। মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ত বিদেশসহ দেশের অভ্যন্তরের আপনজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সরকারী অফিসটি ১৯৪৭ পরবর্তী মহকুমা শহরে প্রতিষ্ঠার পর একেবারে ২০০১ সাল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন মহল্লার ভাড়া বাড়িতে কিংবা পালিয়ে যাওয়া সংখ্যালঘুদের পরিত্যক্ত যা শত্র“ সম্পত্তি হিসাবে দেখানো বাড়িতে দেখা গেছে পিসিও ও টেলিগ্রাম অফিসকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে স্থায়ী টেলিফোন ভবন সংলগ্ন সরকারী মহিলা কলেজ রোডে প্রায় ৫ কাঠা জমির উপর পিসিও ও টেলিগ্রাম অফিসের স্থায়ী ভবন নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এখানেই কাজ চলছিল। হঠাৎ করে আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল আসামাত্র টেলিগ্রাম ও টেলিফোন অফিসের চাহিদা কমতে শুরু করে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতও সীমিত হয়ে আসে। প্রায় প্রতি পরিবারে মোবাইল প্রবেশ করামাত্র মানুষ একেবারেই টেলিফোন ও টেলিগ্রামবিমুখ হয়ে পড়ে। পিসিও অফিসটি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই যুগ ধরে কোন কাজ না থাকলেও অফিস খুলে বসে থাকতেরন দুই কর্মকর্তা। মাস ছয়েক আগে একজনকে রাজশাহী টেলিফোনে নিয়ে যাবার পর থেকে টেলিগ্রাম অফিসটি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এমনটি টরে টক্কা মেশিনটিও কাজ না থাকায় জং ধরে অচল হয়ে পড়ে। বর্তমানে অফিসসহ ৪ কামরাবিশিষ্ট বিশাল ভবনটি যোগান দিচ্ছে একজন এমএলএসএস পথমর্যদার কর্মচারী। মনে হলে গেটের তালা খুলে নতুবা অফিস বা ভবনটি বন্ধ থাকে মাসের পর মাস।
×