ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কেনিয়ার ভার্সিটিতে নিহতদের লাশ নাইরোবিতে পাঠানো হয়েছে

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৪ এপ্রিল ২০১৫

কেনিয়ার ভার্সিটিতে নিহতদের লাশ  নাইরোবিতে পাঠানো হয়েছে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কেনিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠী আল শাবাবের হামলায় নিহতদের মৃতদেহ শনাক্তের জন্য শুক্রবার রাজধানী নাইরোবিতে নেয়া হয়েছে। নিহত ছাত্রছাত্রীদের আত্মীয়স্বজনেরা মৃতদেহ শনাক্ত করতে সেখানে যান। কেউ ঘটনাস্থলেও হাজির হন। মৃতদেহগুলো বিমানযোগে নাইরোবিতে পাঠানো হয়। সোমালিয়ার পার্শ্ববতী উত্তর-পূর্ব কেনিয়ায় আল শাবাব জঙ্গীরা গারিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১৪৭ জনকে হত্যা করে। জঙ্গীরা শুধুমাত্র খ্রীস্ট্রান শিক্ষার্থীদের ওপরই হামলা করে। খবর বিবিসি অনলাইনের। গারিসার মর্গে এত লাশ রাখার জায়গা না থাকায় সেগুলো নাইরোবিতে পাঠানো হয়। হামলায় নিহতরা বিভিন্ন এলাকার ছাত্রছাত্রী। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চার বন্দুকধারী নিহত হয়। নাইরোবিতে বিবিসির সংবাদদাতা এ্যান সয় সারি সারি এ্যাম্বুলেন্স বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছেড়ে যেতে দেখেছেন। হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া শত শত ছাত্রছাত্রীকে নিরাপদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কেনিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়েছে। জঙ্গীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে হটিয়ে দিতে কেনিয়ার সেনাবাহিনীর কয়েক ঘন্টা সময় লেগেছে। বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালানোর সময় বিরোধীরা ‘আমরা আল শাবাব’ বলে শ্লোগান দেয়। সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শেষ হয়েছে এবং তারা ক্যাম্পাসে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। পার্শ্ববতী দেশ সোমালিয়ার আল শাবাব জঙ্গী সংগঠনের নিয়মিত লক্ষ্যবস্তুুতে পরিণত হয়েছে কেনিয়া। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেনিয়ার একজন পুলিশ বলেছেন, পাঁচ মুখোশপরা বন্ধুকধারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণ শুরু করেছিল। কেনিয়ার রেডক্রস বলেছে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী বের হয়ে আসতে পেরেছে। তবে সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী ভিতরে আটকা পড়ে। মূলত খ্রীস্টান শিক্ষার্থীদের নিশানা করে এ হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
×