ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৩ এপ্রিল ২০১৫

উবাচ

সিটি নির্বাচন তামাশা...? স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনকে তামাশা বলেছিল বিএনপি। সম্প্রতি দলটি নিজেকে নিজেই লুকিয়ে রাখা (আত্মগোপন) বরকত উল্লাহ বুলুর নামে পাঠিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল নির্বাচন-টির্বাচন স্রেফ তামাশা ছাড়া কিছু না। কিন্তু দলের পরামর্শকদের পরামর্শে এখন নিজেরাই সেই তামাশার মঞ্চে হাজির। কিন্তু সেটা কি নির্বাচন করার জন্য না কি তামাশা, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপির মুখপাত্র দলের যুগ্মমহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে তামাশার নির্বাচনের মধ্যদিয়ে যারা মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের মাধ্যমে জোর-জবরদস্তিমূলকভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে পারে তারা ক্ষমতা ধরে রাখা ছাড়া কখনই জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে না, এটাই স্বাভাবিক। নাগরিকের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণকারী এবং উৎপীড়ক ও লুটেরা আওয়ামী স্বৈরশাসনের কবল থেকে জাতিকে উদ্ধার করতে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ২০ দলীয় জোট যখন আন্দোলন-সংগ্রামে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত ঠিক তখনই মহাচক্রান্তের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলন-সংগ্রামের গতিধারাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে রাজধানীর বিভক্ত দুই সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এই বিবৃতির পরতে পরতে থাকা বক্তব্যে বিএনপি নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করে। যদিও এখন তারাই নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য সব থেকে বেশি আগ্রহী। রিক্সাওয়ালা কাদের সিদ্দিকী স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের চলমান সঙ্কট নিরসনে ফুটপাথ থেকে রিকশাচালককের আসনে চড়ে বসছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সঙ্কট নিরসনে রাজধানীর মতিঝিলে নিজস্ব দলীয় কার্যালয়ের সামনে তিনি অবস্থান কর্মসূচী পালন করে আসছেন। কিন্তু যে দলের জন্য দরদ উথলে ওঠায় তিনি ফুটপাথের নিয়ন্ত্রণ ছাড়ছেন না তারাই এখন নির্বাচনমুখী। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করায় বিএনপি আন্দোলনকে শুধু ঘোষণার মধ্যে রেখে নির্বাচনে মন দিয়েছে। কিন্তু কাদের সিদ্দিকী তাঁর নিজের দাবিতে অনড় রয়েছেন। তিনি একটা হেস্তনেস্ত না করে ফুটপাথ ছাড়ছেন না। কয়েক দফায় পুলিশ তাঁর কাঁথা-বালিশ ফুটপাথ থেকে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করলেও তিনি ঝগড়াঝাটি করে সেগুলো চেয়ে এনেছেন। সম্প্রতি জুমার নামাজের শেষে আন্দোলনস্থলে ফেরার সময় তিনি রিক্সাচালককে যাত্রীর আসনে বসিয়ে ড্রাইভারের দায়িত্ব পালন করেন। যদিও এর আগে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সময় প্রবীণ এই রাজনীতিককে কেউ পরিবহন ব্যবহার করতে দেখেননি। অনেকেই বিষয়টিকে কাদের সিদ্দিকীর আন্দোলন কর্মসূচীতে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন। তিনি বিএনপির আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিলেও দলটির ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচীর মধ্যে রাস্তায় রিক্সা চালিয়েছন। কাদের সিদ্দিকীর ‘রিক্সা শো’র বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। সরকার পতন- সিটি নির্বাচনেই! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির পক্ষ থেকে সরকার পতনের নানা সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে আগেও। এর আগে বলা হয়, ওই দিন আকাশে চাঁদ উঠলে সরকার পড়ে যাবে। সেই দিন সকালে সূর্য ওঠার আগে সরকার পালাবে। কিন্তু সরকার পড়েনি। এবার বলা হচ্ছে সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পতন হবে। এর মানে কি বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরাসরি সংসদ দখল করবে? কিন্তু এর জন্য তো পৃথক নির্বাচন দরকার হয়। সম্প্রতি বিএনপিপন্থী অসুস্থ আইনজীবী চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সুপ্রীমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সরকারের পতন হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত এক আলোচন সভায় খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার করে আপনারা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয় অর্জনে বাধা দিতে পারবেন না। এই নির্বাচনের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। সেখান থেকে ফিরে আসার সুযোগ নেই। আপনাদের পতন করেই তারা ঘরে ফিরবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি নির্বাচনে না যেত তাহলে সরকার বিদেশীদের বলত বিএনপির জনসমর্থন নেই। তারা পেট্রোলবোমা, জঙ্গীবাদী দলে পরিণত হয়েছে। সে সুযোগ সরকার পাবে না। আর জেল দিয়ে জুলুম করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে অতীতে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এই সরকারও পারবে না।’ জনতার সেবক! স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগে এক সময় ব্যাংকে টাকা রাখলে পাঁচ বছরে তা দ্বিগুণ হতো। তবে সুদের হার কমায় এখন তা আর হয় না। এখন অপেক্ষার প্রহর আরও দীর্ঘ। কিন্তু এখন জনসেবা করলে পাঁচ বছরে সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। যেমনটা হয়েছে চট্টগ্রামের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমের। জনগণের সেবক হওয়া মানে নিজের সবকিছু দিয়ে জনসেবা করা। কিন্তু আমাদের এখানে সম্পদ শুধু দিগুণই হয় না, রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয় জনতার সেবকরা। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া সম্পদ বিবরণী বলছে, মোহাম্মদ মনজুর আলমের অস্থাবর সম্পদ পাঁচ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। হলফনামায় এবার তাঁর অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। বিগত ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র নির্বাচনের সময় তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল ১৭ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার। মনজুর আলমের বার্ষিক আয় এক কোটি ৯২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ২০১০ সালে তাঁর আয় ছিল ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ জনগণের সেবা করে তাঁর আর্থিক ক্ষতি কিছু হয়নি বরং লাভ হয়েছে। এসএসসি পাস মনজুর নিজেকে শিল্পপতি হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। ১২টি প্রতিষ্ঠানের তিনি কোনটির চেয়ারম্যান, কোনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবার কোনটির পরিচালক। তাঁর বার্ষিক আয় এক কোটি ৯২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে মেয়র হিসেবে তাঁর বার্ষিক সম্মানী চার লাখ ৪৯ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়।
×