ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইয়েমেনে আটকেপড়া

প্রকৌশলীকে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের আর্তি

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ৩ এপ্রিল ২০১৫

প্রকৌশলীকে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের আর্তি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ গৃহযুদ্ধপীড়িত ইয়েমেনের রাজধানী সানায় আটকা পড়েছেন রাজশাহীর বাঘার প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা। তিনি স্বজনদের জানিয়েছেন, সেখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। প্রায় প্রতিদিনই বিমান থেকে বোমা হামলা হচ্ছে। এ জন্য তিনি দেশে ফিরে আসতে পারছে না। এদিকে প্রকৌশলী মোস্তফার আটকে পড়ার সংবাদে দেশে বৃদ্ধা মা নূরুন্নার বেওয়া (৮০) নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। পরিবারের সদস্যরা প্রহর গুনছেন তার দেশে ফেরার। জানা গেছে, আটকেপড়া প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বাঘার আড়ানী পৌর এলাকার ভারতিপাড়া গ্রামের আবদুল জব্বারের বড় ছেলে। মাসখানেক আগে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কাজের টিম লিডার হিসেবে ইয়েমেনে যান তিনি। দেশটির রাজধানী সানার নিকবর্তী ঈদ শহরে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। তার স্ত্রী স্বপ্না খাতুন, দুই ছেলে সুমিত ও সজিবকে নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকে বসবাস করেন। গত সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা ছিল তার। প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার স্ত্রী স্বপ্না খাতুন বলেন, টেলিফোনে তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস নেই। সাহায্যের জন্য তিনি পাকিস্তান ও ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা জানিয়েছে, এ মুহূর্তে কোন বিদেশীকে তাদের সেবা দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি ছাড়াও সেখানকার প্রবাসী অনেক বাংলাদেশী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার মা নুরুন্নাহার বেওয়া জানান, তার পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে। এদের মধ্যে সবার বড় গোলাম মোস্তফা। গৃহযুদ্ধপীড়িত ইয়েমেন থেকে নিরাপদে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি। হানিফের দেশে ফেরার দিন গুনছেন মা পরিবানু ষ্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আলাউদ্দিনের ছেলে মো. হানিফ ইয়েমেন থেকে ফোনে জানিয়েছেন ইয়েমেনের প্রধান শহর সানা’য় চলছে প্রচন্ড গোলাগোলি। তিনি জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান সরকার তাদের নাগরিকদের জাহাজে করে নিরাপদে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশী কোন নাগরিককে তাদের জাহাজে নিচ্ছেনা। জাহাজে সিট খালি আছে। টাকা দিয়েও তাদের জাহাজে উঠার অনুমতি মিলছে না। তবে ইন্ডিয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, যদি বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ করে তবেই তাদের জাহাজে নেয়া হবে। হানিফ ইয়েমেন সরকারের একটি গাড়ীর গ্যারেজে কাজ করেন। প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি সেখানে বৈধভাবে বসবাস করছেন। হানিফের পিতা আলাউদ্দিন জানান, হানিফ তাকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ এ্যাম্বাসির সঙ্গে যোগাযোগ করেও হানিফ কোন সহযোগিতা পাননি। বাংলাদেশ এ্যাম্বাসি হযোগিতা করলে ইন্ডিয়ানদের জাহাজে করে সে দেশে চলে আসতে পারতো। এদিকে পুত্র হানিফকে ফিরে পেতে তার মা পরিবানু চিন্তায় কাতর হয়ে পড়েছেন। হানিফের ছবি বুকে নিয়ে এখন শুধুই কান্না তার চোখে। যেভাবেই হোক হানিফকে ফিরে পেতে চান তার মা পরিবানু , স্ত্রী ইতি বেগমসহ পরিবারের সকলেই।
×