ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মার্চে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ৩ এপ্রিল ২০১৫

মার্চে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরের পর থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ কমলেও মার্চ মাসে তা বেশ কিছুটা বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে প্রবাসী বাঙালীরা মোট ১৩৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১১৭ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন। আর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১২৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত কয়েক মাস ধরে রেমিটেন্স প্রবাহ কমলেও বর্তমানে সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এ কারণেই প্রবাসীরা মার্চ মাসে বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় (জুলাই- মার্চ) মাসে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ১২৪ কোটি ১৪ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার বা ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের জুলাই ফেব্রুয়ারি এই নয় মাসে রেমিটেন্স এসেছিল এক হাজার ৪৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার। প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে জুলাইতে। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিটেন্স আসে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। এক মাসে এতো বেশি রেমিটেন্স এর আগে কখনও আসেনি। এছাড়া আগস্টে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৪ কোটি ৪২ লাখ, অক্টোবরে ১০১ কোটি ৮০ লাখ, নভেম্বরে ১১৮ কোটি ২৯ লাখ ও ডিসেম্বরে মাসে ১২৭ কোটি ৫০ লাখ, জানুয়ারিতে ১২৪ কোটি ৩২ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১১৮ কোটি ৯৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠায় প্রবাসীরা। এদিকে, আলোচ্য সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৩৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আগের মাসে যা ছিল ৩৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৭১ লাখ ডলার। যা আগের মাসে ছিল এক কোটি ৫৬ লাখ ডলার। বেসরকারী খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। যা আগের মাসে ছিল ৭৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার। আর বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৫৮ লাখ ডলার। যা আগের মাসে ছিল এক কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
×