নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী বরগুনা, ১ এপ্রিল ॥ আমতলী উপজেলার ২০৩ জন দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা তিন মাস ধরে তাদের ভাতার টাকা পায়নি। এতে তারা চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে।
আমতলী মুক্তিযোদ্ধা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ২১৪ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। এর মধ্যে ২০৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে থাকেন। ভাতাপ্রাপ্ত গরিব ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধারা জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ এ তিন মাসের ভাতার টাকা পায়নি। আমতলী সোনালী ব্যাংক শাখায় তাদের ভাতার টাকা বরাদ্দের চিঠি এখনও আসেনি। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় তিন মাসের ভাতার টাকা বরাদ্দ দেয়নি। এ টাকা না পাওয়ায় গরিব ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধারা আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালের মৃধার বিধবা স্ত্রী উরফুল তাসলিমা জানান, আমার একমাত্র ভরসা স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। কিন্তু গত তিন মাস ধরে ভাতার টাকা না পাওয়ায় খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমতলী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম দেলওয়ার হোসেন জানান, গরিব ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধারা ভাতার টাকা না পাওয়ায় চরম আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে।
বরগুনা জেলা হিসাব রক্ষক অফিসার কাজী মিজানুর রহমান জানান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয়ের হিসাবের চিঠিতে গরমিল থাকায় বরগুনায় বরাদ্দ দেয়নি। তিনি আরও জানান, গত তিন মাসের কিছু অতিরিক্ত টাকা ছিল এ টাকা দিয়ে বরগুনার অন্যান্য উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেয়া হলেও আমতলী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার টাকা দিতে পারিনি। বরগুনা জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার টাকা বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।
আদিতমারীতে গৃহবধূ হত্যা ॥ স্বামী ও ছেলে আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১ এপ্রিল ॥ আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউপির গোর্বদ্ধন বাহাদুরপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জরিনা বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বামী পল্লী চিকিৎসক আব্দুল খালেক (৫০) ও তাঁর ছেলে জসিম উদ্দিনকে (১৯) পুলিশ গ্রামবাসীর সহায়তায় আটক করেছে। জানা গেছে, গোর্বদ্ধন গ্রামে পল্লী চিকিৎসা আব্দুল খালেক ও তাঁর স্ত্রী জরিনা বেগমের মধ্যে পরনের নতুন শাড়ি পছন্দ অপছন্দ নিয়ে পারিবারিক কলহ বাধে। এই কলহের জের ধরে স্ত্রীকে দুইদিন ধরে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এতেও মনের জ্বালা মেটেনি স্বামীর। মঙ্গলবার দা দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনা বেগতিক দেখে আহত স্ত্রীকে নিয়ে আদিতমারী হাসপাতালে যায়। সেখানে চিকিৎসক জরিনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করে। এই সময় গ্রামবাসীদের সহায়তায় ঘাতক স্বামী আব্দুল খালেক ও পুত্র জসিম উদ্দিনকে পুলিশ আটক করে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: