ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘বিশ্বে মৃত্যুদ-ের হার বেড়েছে’

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২ এপ্রিল ২০১৫

‘বিশ্বে মৃত্যুদ-ের হার বেড়েছে’

২০১৪ সালে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি জানিয়েছে। বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সংস্থাটির বার্ষিক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, নিরাপত্তা হুমকির ‘প্রকৃত ও ধারণা’ থেকে মৃত্যুদণ্ডকে ব্যবহার করা হচ্ছে। খবর বিবিসির। ২০১৪ সালে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বিশেষ করে চীন ও নাইজিরিয়ায় এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৪ সালে বিশ্বে ৬০৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০১৩ সালের তুলনায় এই হার ২২ শতাংশ কমেছে। ধারণা করা হয়, বিশ্বে সব দেশ মিলিতভাবে যে সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় শুধু চীনেই তারচেয়ে অধিকসংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০১৪ সালে বিশ্বের ২২টি দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সালেও সমসংখ্যক দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে ইরানে ২৮৯ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকার করে নেয়া হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে ৪৫৪ জন। সৌদি আরবে ২০১৪ সালে অন্ততপক্ষে ৯০ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইরাকে অন্ততপক্ষে ৬১ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ জন। মিসরে গত ২ বছরে গণআদালতে শত শত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে কট্টর ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে দেশটির সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের দমনের অংশ হিসেবেই এই মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে। ২০১৪ সালে নাইজিরিয়ায় ৬৫৯ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল পাঁচ শতাধিক। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পেশোয়ারে সামরিক বাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে তালেবান জঙ্গীরা হামলা চালিয়ে প্রায় দেড় শ’ মানুষকে হত্যা করে। নিহতদের অধিকাংশই শিশু। ওই ঘটনার পর চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তান সরকার দেশটিতে সাত বছর ধরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। জেব বুশের নির্বাচনী প্রচারে অঢেল গোপন অর্থ! ২০১৬-এর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফ্লোরিডার সাবেক গবর্নর রিপাবলিকান দলের জেব বুশ প্রার্থী হতে পারেন। তার প্রত্যাশিত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণার আগে, বাইরের জোরালো রাজনৈতিক প্রচারাভিযান পরিচালনায় উপদেষ্টাদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি এমন একটি নতুন সংগঠনের প্রতি মৌন সমর্থন দিয়েছেন, যারা গোপনে অপরিমিত অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বুশের সাবেক কর্মচারী ও বন্ধু আরকানসাসে চুপিচুপি ‘রাইট টু রাইজ পলিসি সলিউশন্স’ নামে এ অলাভজনক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় রাজনীতিতে আদর্শগত অলাভজনক সংগঠনগুলো প্রধান ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তার ওই প্রথম এ ধরনের একটি সংগঠন একজন সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রচার নেটওয়ার্কে এতটা দৃঢ়ভাবে সম্পৃক্ত হলো। কোন ব্যক্তি দাতা প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারাভিযানে সর্বাধিক ৫৪০০ ডলার দিতে পারেন। তবে ব্যক্তি এবং কর্পোরেশনগুলো নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত পলিটিক্যাল এ্যাকশন কমিটিতে সীমাহীন অঙ্কের অর্থ দান করতে পারেন এবং তাদের নাম প্রকাশ্যে প্রচার করা হবে। তবে নতুন রাইট টু রাইজ সংগঠনে ব্যক্তি ও কর্পোরেশনগুলো পরিচয় গোপন রেখে তাদের ইচ্ছামতো অর্থ দান করতে পারবেন। -ওয়াশিংটন পোস্ট
×