ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তারেকের স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা সচল করতে হাইকোর্টে দুদক

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২ এপ্রিল ২০১৫

তারেকের স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা সচল করতে হাইকোর্টে দুদক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একটি দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে তারেক রহমানের স্ত্রী ডাঃ জোবায়দা রহমানের করা আবেদনে দেয়া রুলে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার বিচারপতি মোঃ মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেএবিএ মহাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন জমা দেন দুদকের আইনজীবী মোঃ খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের দাবিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী মোঃ ইউনুস আলী আকন্দ, যিনি মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বুধবার তিনি সুপ্রীমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন জমা দেন। পরে মোঃ খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন আদালতে উপস্থাপন করেছি। আগামীকাল আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে বলে আদালত আমাদের জানিয়েছে। ওই রুলের কারণে মামলাটি আটকে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা রুল শুনানি করতে চাই। রুল শুনানি করতে হলে পক্ষভুক্ত হতে হয়। সে কারণে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন দিয়েছি। তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডাঃ জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, জোবায়দা তারেক রহমানকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন। তারেক জোবায়দাকে ৩৫ লাখ টাকার দুটি এফডিআর করে দেন। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। জোবায়দা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই বছরের ৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করে। স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপীলে গেলে তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেই থেকে জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। মামলা স্থগিত চেয়ে জোবায়দার করা আবেদনে দুদককে বিবাদী করা হয়নি। তাই ওই আবেদনে দুদককে পক্ষভুক্তির জন্য আদালতে আবেদন করল কমিশন। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিট ॥ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের দাবিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী মোঃ ইউনুস আলী আকন্দ, যিনি মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বুধবার তিনি সুপ্রীমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন জমা দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুনানির জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে এ আবেদন তোলা হবে।’ এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে রিট আবেদন করে আলোচিত-সমালোচিত হওয়া ইউনুস তার আবেদনে স্থানীয় সরকার আইন (সংশোধন) ২০১১, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) বিধির ১৩ দফা এবং দুই সিটি কর্পোরেশনের তফসিল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে নাÑ তা জানতে রুল জারির আর্জি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তফসিলের ওপর স্থগিতাদেশও চেয়েছেন তার আবেদনে। উল্লেখ্য, ২৮ এপ্রিল ভোটের দিন রেখে ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটির জন্য যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে এখন বাছাই চলছে। তফসিলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য ৯ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) বিধির ১৩ দফায় ১ লাখ টাকা জামানত ও ভোটার তালিকা কেনার বাধ্যবাধকতা নিয়ে আপত্তি তুলে ইউনুস আলী তার আবেদনে বলেছেন, ওই বিধির কারণে এ নির্বাচন ‘সার্বজনীনতা হারাচ্ছে’। তার ভাষায়, নির্বাচন করতে গেলে এখন লাখপতি হতে হয়। ইউনুস আলী বলছেন, ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার আইনে ঢাকায় একটি সিটি কর্পোরেশনের কথা বলা ছিল। ২০১১ সালে আইন সংশোধন করে দুটি সিটি কর্পোরেশন করা হলেও আইনের একটি অংশে একটির কথাই বলা রয়েছে। এ কারণে আইন ও বিধি অবৈধ ঘোষণার পাশাপাশি ওই আইনে ঘোষিত তফসিল বাতিলের আবেদন করেছেন এ আইনজীবী। আইন সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে। ইউনুস তার আবেদনে লিখেছেন, গত ২৫ ও ২৯ মার্চ তিনি দুই দফা ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদের মনোনয়নপত্র কিনতে যান।
×