ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি, এসআইসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২ এপ্রিল ২০১৫

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি, এসআইসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১ এপ্রিল ॥ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ, এসআইসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩১ মার্চ মঙ্গলবার গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার মনোয়ারা বেগম, তার স্বামী মুকুল মিয়া এবং মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ রাত ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই ফজলুর রহমান পুলিশ নিয়ে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দিরাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়ার বাড়িতে যান। এ সময় মুকুল মিয়াসহ বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় তারা বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে ভেতরে প্রতিদিনের মতো কাজ করছিলেন। ভ্যান ভর্তি পুলিশ বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের গেট খুলতে বলে। তারা গেট খুলতে রাজি না হওয়ায় এসআই ফজলুর রহমান পাশের বাড়ি থেকে লোহার শাবল নিয়ে এসে গেটের তালা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে। মুকুল মিয়াকে না পেয়ে সেখানে তারা বাড়িতে থাকা মহিলাদের বেধড়ক মারপিট ও শ্লীলতাহানি করে এবং কনস্টেবল তুহিন মিয়া গৃহবধূ হালিমা বেগম ও মনোয়ারা বেগমকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে একপর্যায়ে পুলিশ তাদের হুমকি দেয় বলে তারা উল্লেখ করে। এই বলে পুলিশ ভ্যানযোগে তারা স্থান ত্যাগ করে। মঙ্গলবার মনোয়ারা বেগম আদালতে হাজির হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম, এসআই ফজলুর রহমান, কনস্টেবল আব্দুল মান্নান, মোঃ তুহিন ও পুলিশভ্যানের চালক অজ্ঞাত। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত বিচারিক হাকিম তাসকিনুল হককে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম জাহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদি মনোয়ারা বেগমের স্বামী মুকুল মিয়া তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের ২য় স্ত্রী ফাহিমা বেগমকে মারধর ও নির্যাতন মামলার আসামি। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফজলুর রহমান। ঘটনার দিন আসামিরা ফাহিমা বেগমকে মারধর করে ঘরের ভেতর আটকে রাখে। ফাহিমা গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে এসআই ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে যায়। কিন্তু আসামিরা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তির পরামর্শে মুকুল মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে দিয়ে হয়রানিমূলক এই মামলাটি দায়ের করে।
×