ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

গানে স্মৃতিচারণে ড. শামসুদ্্দীন আবুল কালাম স্মরণ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২ এপ্রিল ২০১৫

গানে স্মৃতিচারণে ড. শামসুদ্্দীন আবুল কালাম স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের এক প্রবাদ পুরুষ ড. শামসুদ্দীন আবুল কালাম। চলচ্চিত্র নির্মাণ, সম্পাদনা, ফটোগ্রাফি, সেট ডিজাইনিং, পাশ্চত্য সঙ্গীতে তাঁর ছিল অসাধারণ দক্ষতা। তাঁর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী হলে এক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বুধবার বিকেলে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও ড. শামসুদ্দীন আবুল কালাম স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমেরিটাস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন এম মোকাম্মেল হক ও প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম। আলোচনানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর নজরুল ইসলাম। ড. শামসুদ্দীন আবুল কালামের কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, কবি হায়াৎ সাইফ ও চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ। এছাড়াও বাবার স্মৃতিচারণ করেন ড. শামসুদ্দীন আবুল কালামের একমাত্র মেয়ে ক্যামেলিয়া। স্বাগত ভাষণে জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, বাংলা সাহিত্য চর্চায় যে কয়জন মানুষ তাদের স্বকীয় অবস্থান তৈরি করতে পেরেছিলেন ড. শামসুদ্দীন আবুল কালাম তাঁদের মধ্যে অন্যতম। যুগস্রষ্টা এইসব সাহিত্যিকের অবদানকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষালাভের জন্য রোমের ‘চিনে চিত্তায়’ কোর্স করেন। ষাটের দশকে তিনি রোম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট (ডক্টর অব লিটারেচার) উপাধি এবং রোমের ‘এক্সপেরিমেন্টাল সেন্টার অব সিনেমাটোগ্রাফি’ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পর্কে শিক্ষাগ্রহণ শেষে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রবাস জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়েও স্বদেশ ও স্বজনের প্রতি তাঁর ছিল গভীর মমতা আর প্রীতি, তাঁর সাহিত্যের অন্তর-বাহির সব দিকই তারাই অধিকার করে আছে। ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। শিশু ও কিশোরদের জন্যও তিনি অনেক নাটক ও গল্প লেখেন। কলকাতার ‘দেব সাহিত্য কুটির’ নামক প্রকাশনার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে গড়ে ওঠে লেখালেখীর কারণে। ১৯৪৬ সালে বিএ পরীক্ষার পর তিনি সাহিত্যচর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। বরিশাল থেকে তখন ‘সাত সতের’ শিরোনামের একটি কবিতা সংকলন বের হতো-যার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন যথাক্রমে সুধাংশু চৌধুরী ও শামসুদ্দীন আবুল কালাম। ড. শামসুদ্দীন আবুল কালামের মেয়ে ক্যামেলিয়া তাঁর বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, বাবা আমাকে দশটি টাকা আর একটা টেলিফোন সেটসহ মার কাছে সোপর্দ করে যান ১৯৬৯ সালে এই বলে ‘আমি একা একা ওকে তোমার মতো করে মানুষ করতে পারব না।’ আমার অভিমানী মা তাঁর স্বামীর বহু আকাক্সিক্ষত মুক্তি প্রদানের অজুহাতে তথাকথিত কল্যাণকামী এক অনুপ্রবেশকারীকে তাকে কন্যাসহ বিয়ে করার অসহনীয় গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়ার উদগ্র ইচ্ছায় মায়ের অনবরত অসম্মতি সত্ত্বেও ধাম করে বিয়ে করে বসলেন চাঁদ অর্থাৎ বাবার আবিষ্কার করা হিরো গোলাম মুস্তফাকে। চাঁদ বা পূর্ণচন্দ্র নয়, আমার হলো অর্ধচন্দ্র লাভ! একে বাবা ছাড়া-এবার মাকেও আমি চিরতরে হারালাম। শিল্পকলায় নাটক ‘দূরত্ব’ মঞ্চস্থ ॥ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে বুধবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় থিয়েটার সেন্টার ফর চিলড্রেন প্রযোজিত নাটক ‘দূরত্ব’। জুনায়েদ ইউসুফ রচিত এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন দেবপ্রসাদ দেবনাথ। নাটকটির একটি বিশেষ দিক হচ্ছে এটি শিশুদের জন্য হলেও শিশুরা অভিনয় করেননি। শিশুদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বড়রা।
×