ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিটি নির্বাচন;###;সংসদে প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি কি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে’র নামে সরে যাবার পথ খুঁজছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২ এপ্রিল ২০১৫

বিএনপি কি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে’র নামে সরে যাবার পথ খুঁজছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ধ্বংসাত্মক ও মানুষ হত্যার রাজনীতিই বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। আর এটাই হবে তাঁর তথাকথিত আন্দোলনের যৌক্তিক পরিণতি। দেশের মানুষই জঙ্গী নেত্রী খালেদা জিয়ার ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করছে, এই জঙ্গী নেত্রীর কথা জনগণ মানে না। তাঁর দলের নেতারাও খালেদা জিয়ার কথা শোনেন না, তাঁর ফোন পর্যন্ত ধরেন না। খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ না করলে থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা যাওয়ামাত্রই পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরপর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ স্বাভাবিক কর্মকা- চালু রাখুন, স্বাভাবিক যান চলাচল অব্যাহত রাখুন, অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ায় বিএনপিকে স্বাগত ॥ আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রার্থী দেয়ায় বিএনপিকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে সরকার কোন ধরনের হস্তক্ষেপ গ্রহণ করবে না। নির্বাচনের সম্পূর্ণ সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে আর সরকার ইসির চাহিদামতো সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। বিএনপির ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড’ দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লেভেল প্লেইং ফিল্ডের সুরের পেছনে কোন বেসুর কাজ করছে, সেটা বোধগম্য নয়। লেভেল প্লেইং ফিল্ড বলতে আসলে তারা কী চাচ্ছে? আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, যানবাহনে আগুন, রেলগাড়িতে আগুণ দিয়ে মানুষ হত্যার সময় কি তাদের (বিএনপি-জামায়াত) জনগণের কথা মনে পড়েনি? তিনি বলেন, আসলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, এ নিয়ে বিএনপি নেত্রী দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। আগে বলেছিলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নেবেন না। কিন্তু তারা আগেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, এখনও করছে। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে, সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। এখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের সুর তুলে নির্বাচন থেকে পিছু হটার কোন পথ খুঁজছে কিনা, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। খালেদা জিয়ার সম্পদ বাজেয়াফত ॥ অবরোধ-হরতালের হুকুমদাতা খালেদা জিয়াসহ বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সম্পদ বাজেয়াফত করে নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে কিনা- সরকারী দলের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলামের এমন সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী আইন-কানুন, আদালত-সংবিধান কিছুই মানেন না। কিন্তু আমরা আইন মানি, আইনকে রক্ষা করি। তাই আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। আইন ও আদালত যে নির্দেশনা দেবে, সেই নির্দেশ আমরা মেনে চলব। আদালত যদি বলে অবরোধ-হরতাল আহ্বানকারী বিএনপি নেত্রীসহ অন্যদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নাশকতায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে, আমরা তাই করব। তবে আইনের বাইরে যাওয়ার আমাদের কোন সুযোগ নেই। আগামীতে স্থানীয় নির্বাচনও দলীয়ভাবে ॥ আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও দলীয়ভাবে করা হবে কিনা- সরকারী দলের শামসুল হক চৌধুরীর এমন সম্পূরক প্রশ্নের সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে স্থানীয় নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে না হলেও ফলাফল ঘোষণার সময় তা দলীয়ভাবেই লেখা হয়। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমাদের দেশেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রচার করার বিধান থাকা প্রয়োজন বলে আমিও মনে করি। সংসদ সদস্যরা চাইলে এ ব্যাপারে বিদ্যমান আইন সংশোধন করে দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। জনগণের জন্য জীবনের যে কোন ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত ॥ বর্ধমানে ধৃত জঙ্গীরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল- এ ব্যাপারে সংসদ নেতার নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারী দলের একেএম শামীম ওসমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হায়াত-মউত, ক্ষমতা দেয়া ও কেড়ে নেয়ার মালিক আল্লাহ। আমি দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করি, নিজের জন্য নয়। প্রতিনিয়ত মৃত্যুভয় নিয়ে চললে তো দেশের এত উন্নয়ন করতে পারতাম না। তাই আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। বার বার আমার ওপর আঘাত এসেছে, ভবিষ্যতেও হয়ত আসবে। প্রতিনিয়তই শুনছি আমাকে হত্যা করা হবে! কে কখন মারবে এই দুশ্চিন্তা নিয়ে চললে তো দেশ ও জনগণের জন্য কিছু করতে পারব না। এতবার চেষ্টা করেও বিএনপি নেত্রী ও বিএনপি-জামায়াত আমাকে মারতে (হত্যা) পারল না, এই দুঃখ তো তাদের রয়েছে। এই দুশ্চিন্তা আমি করি না। দেশ ও জনগণের কল্যাণে জীবনের যতবড় ঝুঁকি নিতে হয় আমি তা নিতে প্রস্তুত। বিএনএফের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের দুর্ভাগ্য, একজন নেত্রী আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছেন, সম্পদ বিনষ্ট করছেন আর আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। একজন নেতা-নেত্রীর কাজই হচ্ছে জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়ন সাধন করা। কিন্তু যিনি আগে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তিনি জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে তাদের হত্যা করছেন! দেশের জনগণের প্রতি তাঁর ন্যূনতম দায়িত্ববোধ নেই। আর তিনি দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না বলেই একাত্তরের মতোই দেশের মানুষকে হত্যা করছেন, জ্বালাও-পোড়াও চালাচ্ছেন। তবে দেশের মানুষ জঙ্গী নেত্রী খালেদা জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করে নাশকতা দমনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে বলেই আমরা সবকিছু মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। দেশে নাশকতা ছাড়া কোন রাজনৈতিক আন্দোলন নেই ॥ সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমদের মূল প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আন্দোলন যৌক্তিক পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। তাঁর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রীর এসব কর্মসূচীই বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে আর এটাই হবে তাঁর তথাকথিত আন্দোলনের যৌক্তিক পরিণতি। সংসদ নেতা বলেন, দেশের মানুষই জঙ্গী নেত্রী খালেদা জিয়ার ধ্বংসাত্মক কর্মকা- সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করছে। জনগণই তাঁর সন্ত্রাসের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। দেশের মানুষ জঙ্গী নেত্রীর কথা মানে না। তাঁর দলের নেতারাও খালেদা জিয়ার কথা শোনেন না, তাঁর ফোন পর্যন্ত ধরেন না। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেত্রী দেশের আইন মানেন না। কোর্ট তাঁর (খালেদা) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়েছে অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি আইন অমান্য করছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) যদি কোর্টে আত্মসমর্পণ না করেন তবে থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা যাওয়ামাত্র পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেত্রীর নাশকতা ছাড়া রাজনৈতিক কোন আন্দোলন নেই। খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে যেমন ভুল করেছেন, তেমনি এখন দেশের কোন মানুষ তাঁর সঙ্গে নেই তা বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে, সাধারণ মানুষ এ ধরনের কর্মকা- সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করে বোমাবাজ ও অগ্নিসংযোগকারীদের যেখানে পাচ্ছে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। জনগণই এই সন্ত্রাসের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। দেশের জনগণ বুঝিয়ে দিয়েছে যে, জঙ্গী নেত্রীর কথা তারা মানে না। খালেদা জিয়ার হিংস্র রূপ প্রকাশ পেয়েছে ॥ বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক চলমান নাশকতামূলক কাজে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেত্রী খালেদা জিয়া গত ১৩ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে তাঁর হিংস্র রূপ আবারও প্রকাশ করেছেন। এতগুলো মানুষ মারা গেল অথচ তিনি তাঁর বক্তব্যে তাদের প্রতি সমবেদনাটুকুও জানাননি। আসলে এই নিরীহ মানুষগুলোকে খালেদা জিয়া হত্যা করেছেন। তাই সমবেদনা জানানোর মানসিক শক্তিটুকুও তাঁর ছিল না। জঙ্গী নেত্রীর কথা দেশের জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা রোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, অর্থায়নকারী ও পরিকল্পনাকারীদের কর্মকা- বিষয়ক তথ্যাদি সংগ্রহের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে। এছাড়া সব ধরনের জঙ্গী, আসামি গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্যসহ সব ধরনের অবৈধ মালামাল উদ্ধারে পুলিশ নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের ৮৫ দিনের ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে বলেন, গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৮৫ দিনের নাশকতায় ১৩০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের সবাই পেটের দায়ে কাজে বেরিয়েছিল। এই সময়ে দুই হাজারের অধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ৩৫ দফায় ট্রেনে নাশকতা হয়েছে। দেশের ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থী যথাসময়ে পরীক্ষা দিতে পারেনি। এতে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এক ধরনের নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে বড় হবে। আগামী প্রজন্মের যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের নামে নাশকতায় আহত ও নিহতদের পারিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে এ পর্যন্ত ১২৭ জনকে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকার অনুদান দেয়া হয়েছে। আরও ৩০ জনের পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা অনুদান চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া যানবাহন ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৪২৬টি যানবাহনের মালিককে মোট ৫ কোটি ৭৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। আরও ৩৯৫টি ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন মালিকের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান চূড়ান্ত হয়েছে। হরতাল-অবরোধে পোশাক শিল্প মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ॥ সরকারী দলের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত ৮৫ দিন ধরে হরতাল-অবরোধের নামে নিরীহ ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। হরতাল-অবরোধের কারণে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চলমান অবৈধ হরতাল-অবরোধের কারণে গার্মেন্টস সেক্টরে উৎপাদন কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিবহন ব্যবস্থা হওয়ায় এ সেক্টরের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছে এবং ক্রয়াদেশ অনুযায়ী সময়মতো উৎপাদিত পণ্য রফতানি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে বিদেশী ক্রেতা বা তাদের ক্রয়াদেশ বাতিল করে অন্য দেশে স্থানান্তর করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে তৈরি পোশাক সেক্টরে নিয়োজিত বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সরকারের পদক্ষেপের ফলে ২০১৪ সালের জুলাই হতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রফতানির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২ দশমিক ২৬ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত অবরোধ কর্মসূচী না থাকলে রফতানি আরও বৃদ্ধি পেত।
×